শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > রসুনের পর বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

রসুনের পর বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

চট্টগ্রাম : বেশ কিছুদিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন, এখন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান শুরু হতে তিন থেকে সাড়ে তিনমাস বাকি। তাই বাজারের পূর্ব পরিস্থিতি হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

এদিকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে মশলাজাতীয় পণ্য চীনা আদার দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহে খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম বাড়ায় আমদানি কমেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হওয়া ইন্ডিয়ান বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ইন্ডিয়ান নাসিকের প্রতিকেজি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এ ছাড়া দেশি মেহেরপুর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ২৭ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে চীন থেকে আমদানিকৃত প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকায়। গত সপ্তাহে একই পরিমাণ পণ্য বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩০ টাকায়। সে হিসাবে পাইকারিতে চীনা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা।

রসুন আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে।

খাতুনগঞ্জের সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী রতন রায় বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে। বিগত কয়েক মাসে ব্যবসায়ীরা এ পণ্যটিতে প্রচুর লোকসান দিয়েছে।’

রমজানকে সামনে রেখে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে এমনিতেই দাম বাড়বে, তবে হ্যাঁ, রমজান তো বাজারের একটা ফ্যাক্টর।’

আদার দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে খাতুনগঞ্জের জনতা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে আমদানি বৃদ্ধি পেয়ে এক মাসে বাজারে পণ্যটির দাম কমেছে। এতে আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি কমিয়ে দেয়। ফলে চাহিদা স্থির থাকলেও বাজারে সাত থেকে ১০ দিন ধরে পণ্যটির সরবরাহ সংকট তৈরি হওয়ায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।’

তবে দাম কমেছে মুরগির ডিম ও মোটা চালের। নগরীর চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ডিমের প্রতি ডজনে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১০৫ টাকা। চিকন চলের দাম উর্ধ্বমুখী থাকলেও মোটা চালের দাম কমে গেছে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা। এ চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা। মাছ, মুরগি ও সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বেড়েছে মটর ডালের। প্রতি কেজি মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪১ টাকা। আগে ছিল ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা।