জেলা প্রতিনিধি, যশোর ॥
শিক্ষককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদের জের ধরে যশোর সরকারি এমএম কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেছেন। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের মারপিট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন জানান, সোমবার সকালে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সেমিনারের মধ্যে একজন ছাত্র একই বিভাগের ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে লঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে সোমবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা বর্জন করেন। পরে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে।
কলেজ প্রশাসন সূত্র মতে, সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে এমএম কলেজের আসাদ হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করেছেন এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ড. মোহাম্মদ ফিরাজুল ইসলামকে যে ছাত্র লঞ্ছিত করেছিল। ঘটনার পরপরই খড়কি এলাকার একটি মেস থেকে তাকে ধরে এনে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তু পরদিন জামায়াত-বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখেন। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিলেন। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। সেখানে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে আছেন বলে জানানো হয়। মিটিং শেষে কথা বলতে পারবেন।
আর ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, রোববার তাকে লঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন সোমবার কলেজে কী হয়েছে সেটা তিনি ভালোভাবে অবগত নন।