শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আশা দিলেন জার্গেনসেন

আশা দিলেন জার্গেনসেন

শেয়ার করুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ফিকশ্চার যখন বাংলাদেশের জন্য আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল তখন দলকে ভরসা আর আশা দিলেন কোচ শেন জার্গেনসেন। দলের অধিনায়ক আর প্রধান নির্বাচকও এ ফিকশ্চার নিয়ে বলেছেন তাদের ভয়ের কথা। তবে শেন জার্গেনসেন শোনালেন আশার বাণী। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা এ চার কঠিন প্রতিপকে মোকাবিলা করে আমাদের টিকে থাকতে হবে বিশ্বকাপের আসরে। প্রতিপ কঠিন হলেও আছে এ চারটি দলকেই হারানোর স্মৃতি। তাই জার্গেনসেনের আশাটা যে খুব হালকা তাও না। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি একাডেমীতে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রুপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দু’টি সহযোগী দেশও থাকবে। আমরা শ্রীলঙ্কাসহ সব দেশকেই আগে হারিয়েছি। বিশ্বকাপেও ওদের হারানো সম্ভব। আমি মনে করি ওয়ানডে ক্রিকেটে যে কোন কিছু হতে পারে। নিউজিল্যান্ডকে আমরা দেশের মাটিতে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের দিনে যে কাউকে হারানো সম্ভব এবং সেটা বিদেশের মাটিতেও।
তবে আশা দিলেও তিনি একেবারে চিন্তা মুক্ত নন। তার চিন্তার বিষয়টা কন্ডিশন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া জার্গেনসেনের বড় ল্য কোয়ার্টার ফাইনালে দলকে উত্তীর্ণ করা। কন্ডিশনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েই এ ল্য তাকে পাড়ি দিতে হবে। কারণ, ২০০৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়া ও ২০১০ সালের পর বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সফর না করায় কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া কঠিন হবে দলের জন্য। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ‘গোপন পরিকল্পনা’ আছে সেটা নিয়ে কিছু বলবো না। গত মওসুমে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তামিম খেলে এসেছে। আসছে মওসুমে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তামিম, সাকিবদের পাঠানো যেতে পারে।’
অন্যদিকে তিনি কন্ডিশন নিয়ে চিন্তিত হলেও কিছুটা চিন্তামুক্ত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেট নিয়ে। কারণ এ উইকেটগুলো খুবই চেনা এ কোচের। আর নিজে পেসার ছিলেন বলে উইকেটগুলোর বৈশিষ্ট্যটাও তার বেশ জানা। তাই উইকেট নিয়ে ভরসা দিতে গিয়ে দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘সব ভেন্যুতে কিন্তু আমরা বিরূপ উইকেট পাব না। কেবল গ্যাবার উইকেটই পেস সহায়ক হবে। অন্যান্য ভেন্যুত উইকেটে টার্ন থাকবে, স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পাবেন বলে আশা করছি।’
ওদিকে প্রধান নির্বাচকের মতো প্রধান কোচও মনে করেন বাংলাদেশের একটি দুর্বল দিক হলো পেস বিভাগ। আর এ বিভাগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে  পেসারদের একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। পেসারদের অনেকের চোট রয়েছে। ওদের সবাইকে সুস্থ করে দলের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। এখনও অনেক সময় আছে, আশা করি আমাদের প্রস্ততি ভালো হবে।’ তবে ব্যাটিং নিয়েও কিছুটা চিন্তার কারণ এখনও রয়ে গেছে। এখনও টপ অর্ডারে তামিম ইকবালের উপযুক্ত সঙ্গী পায়নি বাংলাদেশ দল। প্রধান কোচ অবশ্য এ সমস্যার সমাধান হিসেবে দেখছেন এনামুল হক বিজয় ও জহুরুল ইসলামেকেই। আর তাদের প্রতি আশা নিয়ে প্রধান কোচ বলেন, এই জায়গা নিয়ে আমরা ভাবছি। অনেকের জন্য এটা ভালো সুযোগ। এনামুল ও জহুরুল ভালো করছে। জহুরুল বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করেছিল।’ তবে জহুরুল ভাল শুরু করলেও সেই শুরুটাকে কোন সুন্দর সমাপ্তি তিনি এখনও দিতে পারেনি। তবে জার্গেনসেন মনে করেন, ভালো শুরুর পরও ব্যাটসম্যানদের ইনিংস বড় করতে না পারার মূল কারণ বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ কম খেলা। আর সেজন্য আবারও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আরো বেশি তিন-চারদিনের ম্যাচ খেলতে হবে। গতবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল) ছিল একটি ভালো উদ্যোগ।’