শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > আ লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে গ্রামে কমেছে শহরে

আ লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে গ্রামে কমেছে শহরে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের ৭০ থেকে ৮০ জন এমপি জনবিচ্ছিন্ন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে গত নির্বাচনের চেয়ে বর্তমানে গ্রামে জনপ্রিয়তা বেড়েছে আওয়ামী লীগের। শহরে কিছুটা কমেছে। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জরিপ রিপোর্টে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক নেতা বলেছেন, ৭০ থেকে ৮০ জন জনবিচ্ছিন্ন এমপি আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন না। তাদের জায়গায় নতুনদের মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এ কথা স্বীকার করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

মন্ত্রী গতকাল সোমবার সমকালের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে প্রার্থী রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সর্বশেষ জরিপ রিপোর্টের তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গ্রামীণ জনপদে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বাড়লেও শহরের চিত্র ভিন্ন। শহর এলাকায় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প থেকে চতুর্থ পর্যায়ে জরিপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ জরিপ রিপোর্ট নিয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো মন্তব্য না করলেও তার কথায় ইতিবাচক দিকটিই ফুটে উঠেছে। এ জরিপ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ‘আওয়ামী লীগ মতায় আসছে’ মন্তব্য করেছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।

এদিকে, সর্বশেষ জরিপ রিপোর্টকে আমলনামা হিসেবে দেখছেন এমপিরা। তারা নিজেদের আমলনামা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন। দলীয়ভাবে এই জরিপ রিপোর্টকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বৃহত্তর ফরিদপুর থেকে কয়েক দফায় নির্বাচিত একজন এমপি এ জরিপ রিপোর্ট তৈরির কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

একটি বিদেশি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ৩০০ নির্বাচনী এলাকার ইউনিয়ন পর্যায়ে এ জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়েছে। জরিপে কৃষক, রিকশাওয়ালা, ছাত্র, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী, গৃহবধূ, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সুনির্দিষ্ট ১০ শ্রেণীর প্রতিনিধিদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণীতে ১০ জনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে জরিপে। আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি জরিপে আসনওয়ারি গ্রাফিক্সও ব্যবহৃত হয়েছে।

জরিপের মাধ্যমে মূলত বর্তমান এমপিদের সর্বশেষ অবস্থান জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে এমপির ব্যক্তিগত ইমেজ কেমন, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে কি-না, স্বজনপ্রীতিসহ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত কি-না, পারিবারিক প্রভাব এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে আচার-আচরণ কেমন, নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে কি-না, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন- এসব তথ্য রয়েছে জরিপে।

প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার জন্য মোট ১০০ নম্বর ছিল জরিপে। মোট ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০ শ্রেণীর প্রতিনিধিদের। ‘পাস নম্বর কত’, সেটা জানা না গেলেও কমপে ৭০ থেকে ৮০ জন এমপি ক্রমে অজনপ্রিয় হয়ে উঠছেন বলে জরিপে বলা হয়েছে। বাদবাকি এমপিদের মধ্যে বেশির ভাগই আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেন বলে জরিপ রিপোর্টে রয়েছে। সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন চলাকালেই জরিপ রিপোর্টটি পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।