শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > রাজবাড়ী থেকে টুঙ্গিপাড়ায় হবে নতুন রেলপথ

রাজবাড়ী থেকে টুঙ্গিপাড়ায় হবে নতুন রেলপথ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জনগণের নিরপাদ আরামদায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে রাজবাড়ী থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন করে রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এজন্যে রেলওয়ের ‘কালুখালী–ভাটিপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের নিয়মিত বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘একনেক বৈঠকে ৩ হাজার ৯৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ছয় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়ন এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪৭ কোটি টাকা।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘২ হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কালুখালী–ভাটিপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।’

প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাতির লালিত স্বপ্ন পদ্মসেতু। পদ্মাসেতুতে রেল স্থাপনের জায়গা রাখা হয়েছে, এ কারণে আমরা সেতুর সঙ্গে প্যারালাল হিসেবে রেললাইন নির্মাণ করতে যাচ্ছি। এটা অত্যন্ত ভালো একটি প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফরিদপুর রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।’

অনুমদন হওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো:
ঢাকা দক্ষিণ সিটির উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায়ধীন ৫টি অঞ্চলের প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত সি.সি. সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প।

‘বিসিএসআইআর-এর প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত ভৌত সুবিধাদী সৃষ্টি’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

‘এক্সপ্যানশন অব বিসিএস, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি বিল্ডিং অ্যান্ড এক্সটেনশন অব ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিজ’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

৪ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে ১ হাজার ২৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্র ক্রয়’ নামে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে প্রথমে ব্যয় ছিল ১ হাজার ৩০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও সংগ্রহের জন্য ছয়টি বিভাগের ৩৫টি জেলার ১৬৬ উপজেলায় ‘ধান, গম ও ভুট্টার উন্নতর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প চালু হবে। প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব শফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সদস্য শামসুল আলম, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন বিভাগের সদস্য আরস্ত খান প্রমুখ।