শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

শেয়ার করুন

এইচএসসি- সমমানে গড় পাস ৬৯.৬ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: এ বছর ৮ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) সার্টিফিকেট ও সমমানের(আলিম ও কারিগরি) পরীক্ষার পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। মোট ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। মোট জিপিএ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪জন। ৮হাজার ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছে ১হাজার ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানটি থেকে।

অন্যদিকে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৫.৮৪ শতাংশ। ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ হাজার ৭২১ জন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ৯৮ হাজার ১২৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৪ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৮৫.৫৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৩০জন।

মাদ্রাসা বোর্ডে সর্বমোট ৮২হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৪৩১ জন। পাসের হার ৯০.১৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩৫জন।

দুপুর ২টা থেকে অনলাইন ও এসএমএস এর মাধ্যমে ফল পাওয়া যাচ্ছে।

গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৮.৩৩ শতাংশ। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে ৯.৯০ শতাংশ।

ফলাফলের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। মেয়েদের পাসের হার ৭০.২৩। ১৯ হাজার ৬০১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ছেলেদের পাসের হার ৬৭.০৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ২৩হাজার ২৩৯জন।

বিদেশে ৫টি কেন্দ্রে ৭টি ইন্সটিটিউশনের মোট ২৩৬জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১১২জন।

এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৬৮.১৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৩.৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ৭০.৩৬ শতাংশ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ৭৭.৫৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭০.০৬ শতাংশ, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৭৪.৫৭, যশোর বোর্ডে ৪৬.৬৫, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.১৯ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাস করেছে ৮৫.৫৮ শতাংশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এবার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়নি।

রাজশাহী বোর্ড
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮১ হাজার ৩৩০ জন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কমেছে জিপিএ-৫ সংখ্যাও। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে সাত হাজারের কিছু কম। গত বছর জিপিএ-৫’র সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬৪১ জন।

গত বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ৮৭ হাজার ৭২০ জন। এবার এক লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮১ হাজার ৩৩০ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড

সিলেট শিক্ষা বোর্ড
সিলেট শিক্ষা বোর্ডেও গতবারের চেয়ে পাসের হার কমেছে। এবারের উচ্চ মাধ্যামিক (এইচএসসি) পরীক্ষার পাসের হার ৭৪.৫৭ শতাংশ। গতবছর পাসের হার ছিলো ৭৯.১৬। কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও।

বোর্ডের ২৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৩ হাজার ২৮জন। এদের মধ্যে ছেলে ১৯ হাজার ৭২১ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২৩ হাজার ৩০৭ জন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছেলে ৭৯৮ ও মেয়ে ৫৫৮ জন। এবার শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩টি।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ। যা গতবার এই হার ছিল ৭০ দশমিক ১৪ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৫২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৭৫৪ জন ও ছাত্রী ৬৯৮ জন।

এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে ২ হাজার ১২৯ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ২ হাজার ২৯৩ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৯২৭ জন, সিলেট বোর্ডে ১হাজার ৩৫৬ জন এবং বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৩১৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।

রোববার (০৯ আগস্ট’২০১৫) সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১০ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।

পরীক্ষার ফলে পাসের হার কমে যাওয়া বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষার্থীরা বাড়তি ক্লাস তো দূরে থাক রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক সময় নিয়মিত ক্লাসও করতে পারেনি।তাই ফলাফলে হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে।

এসএমএসে ফল পেতে HSC স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে।

আলিমের ক্ষেত্রে অষরস লিখে স্পেস দিয়ে গধফ লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

আর এইচএসসি ভোকেশনালের জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

অনলাইনে ফল পেতে www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এই ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোড করতে পারবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়া পরীক্ষা সারা দেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে গ্রহণ করা হয়।

১১ জুন পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ১৩ থেকে ২২ জুন।