শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিলবোর্ড সরে লেগেছে পোস্টার

বিলবোর্ড সরে লেগেছে পোস্টার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে লাগানো আগাম বিলবোর্ড ও ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কিন্তু বিলবোর্ড ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার পরে দেওয়ালে দেওয়ালে লাগানো হয়েছে পোস্টার। ফলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টারে ছেয়ে গেছে আবার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট থেকে শুরু করে পলাশী, আজিমপুর, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ডেমরা, মুগদা ক্রসিং, বাসাবো, সবুজবাগ, খিলগাঁও, শাহবাগ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে, মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন মোড়, মগবাজার ও মালিবাগ এলাকায় সম্ভাব্য কাউন্সিলরা ও মেয়র পদপ্রার্থী হাজি সেলিম, গোলাম মাওলা রনি, কাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন ও সাঈদ খোকনসহ অন্যান্য প্রার্থীরা বিলবোর্ড-ব্যানার সরিয়ে নিয়ে আবার পোস্টা লাগিয়েছেন।
হাজী সেলিমের পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে হাজী মো. সেলিমকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। প্রচারে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের জনগণ। রনির পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল সম্মানিত বাসিন্দাকে গোলাম মাওলা রনির সালাম ও শুভেচ্ছা। মিলনের পোস্টারে লেখা হয়েছে, দলমতের উর্দ্ধে উঠে বিবেককে প্রশ্ন করে ভাল মানুষের পক্ষে ভোট দিয়ে ভাল মানুষকে রাজনীতিতে আসার সুযোগ দিন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিকরপোরেশনে মেয়র নির্বাচনে আপনার সুচিন্তিত রায় দিন, হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন।
ছবি-সংবলিত এই পোস্টার গুলো পুরো নগরী জুড়ে ছেয়ে গেছে। স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছেন। সুষ্ঠ সমৃদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাউন্সিলররা তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়ও এই পোস্টারগুলোতে তুলে ধরেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীদের চেয়ে কাউন্সিলরদেরই পোস্টারিং প্রচারণা বেশি জমে উঠেছে।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিলবোর্ড অপসারণের কাজ শুরু করেছি আমি। বিভিন্ন যায়গাহতে পোস্টার থাকলে তা ছিড়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি যথা সময়ে পোস্টাগুলো ছিড়ে ফেলা হবে।
জাতীয় পার্টির সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী কাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো জাতীয় পার্টি একটি বড় দল। ফলে নেতা-কর্মীরা অনেক স্থানে বিলবোর্ড, পোস্টার লাগিয়েছে এবং সব স্থানগুলো খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি নেতা কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছি, তারা যেন বিলবোর্ডগুলো নামিয়ে ফেলে এবং পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলে।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ এই প্রতিবেদককে বলেন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও পোস্টার অপসারণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যথা সময়ে সরিয়ে না নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার পরেই মাঠে নামবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৮৪ বিধি অনুসারে, বিধি বহির্ভূত লাগানো পোস্টার, বিলবোর্ড ও ব্যানার তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ ও দেয়াল লিখন মুছে ফেলার ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার (৪) অনুচ্ছেদে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ হইতে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করিতে পারিবেন না।