শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > তারেকের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট

তারেকের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় দেশের সকল ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সকল মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট।

তারেক রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার না করার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (৭ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

একইসঙ্গে তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান এবং তার পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে এক মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, এস এম মুনীর, সাহারা খাতুন, শ ম রেজাউল করিম, সানজিদা খানম এমপি প্রমূখ।

আদালত অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ ছাড়াও রুল জারি করেছেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

রিটে বিবাদীরা হচ্ছেন, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক, বিডিনিউজ সম্পাদক, জনকণ্ঠ সম্পাদক ও তারেক রহমান।

শুনানিতে শ ম রেজাউল করিম বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য সংবিধানের ৭ ক ও ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। সবোর্চ্চ আদালত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে রায় দিয়েছেন। অথচ তারেক রহমান তাকে ‘পাকবন্ধু’ বলছেন, যা আদালতের অবমাননা।

পরে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।

রিটকারী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা বলেন, একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এ রিটটি দায়ের করেছি।

ভবিষ্যতে কোনো পত্রিকা, ইলেট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুন:উৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে।

রিটে বলা হয়, ফেরারি তারেক রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা অপরাধমূলক কথা বলছেন। যা দণ্ডবিধি অনুসারেও অপরাধ। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছেন।

এছাড়াও তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি শান্তিভঙ্গ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।