বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বিএস (সম্মান) এবং এমএস পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গণিত বিভাগের ৯জন মেধাবী শিক্ষার্থী এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।
শনিবার এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদপত্র তুলে দেন।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অমূল্য চন্দ্র মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর অধ্যাপক ড. নাইলা কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুস ছামাদ। গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি স্বর্ণপদক প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদানের জন্য এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই অনুদান মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপকৃত ও অনুপ্রাণিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এ এফ মুজিবুর রহমান দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আজীবন কাজ করে গেছেন।’
তিনি এ এফ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফারজানা ইসলাম (মাস্টার্স), সানজিদা ইসলাম (মাস্টার্স), ফারহানা আহমেদ সিমি (অনার্স), মো. আলমগীর হোসেন বাদশা (মাস্টার্স), চিন্ময়ী পোদ্দার (মাস্টার্স), কামরুন নাহার (মাস্টার্স), কামরুন্নাহার (মাস্টার্স), মো. লোকমান হোসেন (মাস্টার্স) এবং শাহেনূর বেগম (মাস্টার্স)।
স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নব-নির্মিত ‘এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবন’ উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, এ এফ মুজিবুর রহমান ১৮৯৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২০ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ গণিত বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
এক্ষেত্রে তিনি স্যার আশুতোষ মুখার্জির সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তির রেকর্ড ভঙ্গ করেন। তিনিই প্রথম বাঙালি মুসলমান আইসিএস কর্মকর্তা। তিনি সিভিল সার্ভিসের বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে কিছুদিন ঢাকার জেলা জজ ছিলেন। মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৪৫ সালের ১২ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।