শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > রায়পুরে বিএনপির সম্মেলন বিকেলে

রায়পুরে বিএনপির সম্মেলন বিকেলে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
রায়পুর: অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর রায়পুর পৌর ও ১০ বছর পর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণায় উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠেছে দলের নেতাকর্মীরা।

প্রতিদিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পদ প্রত্যাশী প্রার্থীরা। সম্ভাব্যদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠেছে এ সম্মেলন।
ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে রায়পুর অডিটোরিয়ামকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে বলে দলের দায়িত্বশীলরা নিশ্চিত করেছেন। ২০০৫ সালে সর্বশেষ উপজেলা ও ২০০৪ সালে পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালে পৌর ও উপজেলা কমিটি ভেঙে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বেই বিগত সরকারবিরোধী দুর্বার আন্দোন-সংগ্রাম গড়ে তোলেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বিকেলে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া। প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার। পরিচালনায় পৌর বিএনপির সভাপতি পৌর মেয়র এবিএম জিলানী। প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান হাছিব। বিশেষ অতিথি থাকবেন জেলা সহ-সভাপতি ছায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া ছুট্টো, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ বেপারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের সন্তান আনোয়ার হোসেন টিপু।
তবে ১০টি ইউনিয়নে বিরতিহীন মাইকিং, ব্যয়বহুল প্রচার-প্রচারণা করছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে থাকছে নতুন কিছু চমক। বিশেষ করে নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আসছেন তারা নতুন-পুরনো মিলেই স্থান পাচ্ছেন এখানে এমনটাই ধারণা অনেকের। এর আগে ২০০০ সালে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারকে আহ্বায়ক ও হোসেন আহম্মদ বাহাদুরকে যুগ্মআহ্বায়ক করে উপজেলা বিএনপি এবং এবিএম জিলানীকে আহ্বায়ক ও ভূঁইয়া কামাল রায়হানকে যুগ্মআহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট দু’টি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। দীঘ ৫ বছর চেষ্টা করেও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে আহ্বায়ক কামিটি কোনো সম্মেলন করতে না পারায় মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটিই দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসতে থাকে। অতঃপর সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ উপজেলা বিএনপিকে বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসার পর কেন্দ্রের নির্দেশে এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সম্মেলনের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে সম্মেলন সফল করতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের কাজ করে যাচ্ছে।