শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুর প্রশাসন রুখতে পারেনি অশ্লীল নৃত্য মেলা

গাজীপুর প্রশাসন রুখতে পারেনি অশ্লীল নৃত্য মেলা

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
গাজীপুরের প্রশাসন দু’দিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাত্র তিন’টি অশ্লীল নৃত্য মেলা বন্ধ করলেও আরো নতুন নতুন এ সব মেলার আয়োজন শুরু হয়েছে।
জানা যায়, মহানগরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় আরিফ নামে একব্যক্তি বনের ভিতর টিনের ছাপরা ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করে হাউজি ও অশ্লীল নৃত্য চালাচ্ছে গত মঙ্গলবার থেকে।
শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা সিনেমা হলের সামনে ফারুক নামে একব্যক্তি মাসব্যাপি মেলা চালাচ্ছে।
মহানগরের কোনাবাড়ী আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকায় মিন্টু নামে একব্যক্তি গত সাপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার অশ্লীল নৃত্য চালানোর পর নিজেদের মধ্যে টাকা-পয়সার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মেলাটি বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে মৌচাক লালমাটি এলাকায় গত সাপ্তাহে বিরতি দিয়ে তিনদিন চালিয়েছে এ জাতিয় মেলা সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি।
বোর্ডবাজার এলাকায় হাজী মোবারক হোসেন মুবা নামে একব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ হাউজি চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসন একমাসে চারবার ভাঙ্গলেও পরদিন থেকে আবার শুরু করে এ হাউজি খেলা।
বাঘের বাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু সাফারী নিকটে মাসব্যাপী মেলা চলছে। মেলাটি ইব্রাহিম ও সম্রাট নামে দু’ব্যক্তি পরিচালনা করছেন। তবে সম্রাট দাবী করছে মেলাটি গত শুক্রবার বন্ধ করা হয়।
এসব মেলা বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে গত ১২ ও ১৩ নভেম্বর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তিনটি মেলা বন্ধ করেন। পরে এ উদ্যোগ দৃশ্যত থেকে যান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। সারারাত জেগে মেলা ভাঙ্গা হয় আবার পরদিন শুরু হয়। বোর্ডবাজারের মেলা একমাসে চারবার ভেঙেছি। আমার চালুও হয়। এ গুলো রোধ করা কঠিন হচ্ছে। আমার তো মনে হয়- এগুলো আরো বৃদ্ধি পাবে। পুলিশ সুপার ওইদিন (১০ নভেম্বর) মিটিং-এ বলে ছিলেন, এগুলো বন্ধ করবে। আপনি ওনার সাথেও কথা বলেন। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে আজ বিকাল সোয়া ৫টায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ পিপিএম (বার) সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। অপর প্রান্তে রিং বাজলেও রিসিভ হয়নি।