শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে আট স্থানে অশ্লীল নৃত্য মেলা

গাজীপুরে আট স্থানে অশ্লীল নৃত্য মেলা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুরে বিভিন্ন স্থানে মেলার নামে চলছে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের আসর। এ রকম আসর চলে আসছে ৮টি নির্দিষ্ট স্থানে। এর মধ্যে গত শুক্রবার প্রশাসন দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে মেলা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই দু’টি স্থান হলো বড়বাড়ী এলাকার জয়বাংলা রোডে অগ্রগামী নাট্য সংস্থার ব্যানারে পরিচালিত একটি এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় আবরার নামে পরিচালিত একটি।
জানা যায়, মহানগরের বড়বাড়ী এলাকার জয়বাংলা রোডে সালামের নেতৃত্বে অগ্রগামী নাট্য সংস্থার ব্যানারে পুতুল নামের যাত্রা দলের মেয়েদের দিয়ে অর্ধনগ্ন নৃত্য পরিবেশন করা হয়। তাছাড়াও এখানে ছয়টি জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উজ্জ্বল নামে এক যুবক তাঁত কুটির শিল্প আনন্দ মেলা নামে ৫টি জুয়ার বোর্ড ও ১টি র‌্যাফেল ড্র চালাচ্ছে।
বোর্ডবাজার হাজী মোবারক হোসেন ওরফে মুবা ৪টি জুয়ার বোর্ড ও হাউজি চালাচ্ছে। ত্রিপলের সামিয়ানা দিয়ে বিশাল ঘরের মধ্যে এই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এ এলাকার জসিম নামে একব্যক্তি এখানে প্রায় ২ বছর এ ব্যবসা চালাচ্ছিল। জেলা প্রশাসন তাকে অনেকটা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। জসিমের নেতৃত্বে এ খেলা বন্ধ হলেও এখানে অন্যরা এ খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন।
কোনাবাড়ী এলাকার জেলখানা রোডে কথিত ডাক্তার সচিন ও সোহাগের নেতৃত্বে পুতুল নাচের নামে যাত্রা দলের মেয়ে দিয়ে প্রায় উলঙ্গ নৃত্য পরিবেশ করছে। তাছাড়া এখানে ৫টি জুয়ার বোর্ড সহ একটি র‌্যাফেলড্র পরিচালনা করছে।
কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় আবরার নামে এক যুবক একাধিক জুয়ার বোর্ড ও পুতুল নাচের নামে যাত্রা দলের মেয়েদের দিয়ে প্রায় উলঙ্গ নৃত্য পরিবেশন করান।
শুধু পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে অতি গোপনে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় আরিফ নামে এক যুবক বিভিন্ন আইটেমের জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছেন। চতুর আরিফ অনেকটা ভ্রাম্যমান স্টাইলে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছেন। সে এক স্থানে ২/৩ দিনের বেশী চালায় না। এ এলাকায়ই বেশ ৩মাস যাবৎ এ খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় ইব্রাহিম নামে এক যুবক কয়েকদিন যাবত মেলার নামে বিভিন্ন জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছেন।
এছাড়াও ভবানীপুর এলাকার মাসুদ নামে এক যুবক মেলার নামে বিভিন্ন জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করছেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসন ও পুলিশকে ম্যানেজ করে এ সব অপকীর্তি অবাধে চলছে। উঠতি বয়সের যুবক থেকে শুরু করে শ্রমিক শ্রেণীর সবাই এ সব মেলায় প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।