বাংলাভুমি২৪ ডেস্ক ॥
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর কোথাও গোলযোগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জামায়াতকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
সকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম দেখা গেলেও বাস ও অটোরিকশা চলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে।
সকালে গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। তবে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সারাদেশেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
সর্বোচ্চ আদালত গত সোমবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ে মৃতুদণ্ড বহাল রাখলে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই হরতাল ডাকে।
বৃহúতিবারও জামায়াতের হরতাল রয়েছে, যা ডাকা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির শুরা সদস্য মীর কাসেমের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে।
এর আগে দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর সর্বোচ্চ সাজার রায়ে বৃহস্পতি, রবি ও সোম- এই তিন দিন হরতাল করে জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের প্রতিটি রায়ের পরই এভাবে হরতাল ডেকে নাশকতা চালিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা দলটি।