বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ অনেক সময়ই গসিপিং সব শয়তানির মূল বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গসিপিং হতে পারে সামাজিকতার নতুন পরিবেশ তৈরির উপায়। নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব গ্রোনিনজেন এর এক দল গবেষক জানান, গসিপিং এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে আশঙ্কার কারণে জন্ম নেওয়া ভয় দূর হতে পারে।
গবেষক এলিনা মার্টিনেস্কু বলেন, উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, একজনের কাছ থেকে অন্যের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক খবর পাওয়া গেলে তা মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ভালো করে। আবার নেতিবাচক গসিপও তোষামদি হতে পারে। কারণ যার কাছে এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে তার কাছে বিষয়টি মজার হয়ে উঠতে পারে।
দুই অংশের এই গবেষণায় ১৮৩ জন অংশগ্রহণকারীকে গসিপের বিষয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য করতে বলা হয়। পরে এসব মন্তব্যের মাধ্যমে গসিপ কীভাবে আত্মসমালোচনা, আত্মন্নোয়ন, আত্মরক্ষার বৈশিষ্ট্য প্রদান করতে পারে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
দ্বিতীয় অংশে অংশগ্রহণকারীদের একজন সেলস এজেন্টের চাকরি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে বলা হয়। এরপর তাদের একজনের লেখা অপরজনকে নিয়ে গসিপ করতে বলা হয়।
দুটো পরীক্ষাতেই একই ধরনের ফলাফল উঠে এসেছে। যাদের গসিপে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে তারা অন্যের সফলতা দ্বারা উৎসাহিত হয়েছেন। আর যাদের গসিপে নেতিবাচক বিষয় উঠে এসেছে তারা আত্মরক্ষার তাগিদে এমন করেছিলেন।
অবশেষে গবেষকরা দেখেন যে, গসিপে এমন খারাপ কোনো বিষয় নেই তা শুধু ক্ষতিই করতে পারে। কাজেই একে ইতিবাচকভাবে নেওয়াই ভালো। তা ছাড়া অন্যের বিষয়ে গসিপ করা হলে তা সবারই মন দিয়ে শোনা উচিত। কারণ সেখানে মূল্যবান তথ্য থাকে যা অন্যের সম্পর্কে দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার করে দিতে পারে।
‘পারসোনাল অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি বুলেটিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনটি।