রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > রংপুরে পুলিশের সঙ্গে চেইন মাস্টারদের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

রংপুরে পুলিশের সঙ্গে চেইন মাস্টারদের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ রংপুরের সাতমাথা এলাকায় মটর মালিক সমিতির চেইন মাস্টারদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময়ের ঘটনায় তিন পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিন পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত পৌনে বারোটার দিকে নগরীর সাতমাথা এলাকার বাসস্ট্যান্ড দখল নিতে আসে মালিক সমিতির চেইন মাস্টাররা। এসময় তারা পুলিশকে দেখে গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে মটর শ্রমিকরা ও পুলিশ সদস্য মিলে ধাওয়া দিয়ে চেইন মাস্টারদের হঠিয়ে দেয়।
পুলিশ চেইন মাস্টারদের ধরতে পুরো সাতমাথা এলাকা ঘিরে রেখেছে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন, বর্তমানে সাতমাথা এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এরআগে সোমবার নগরীর সাথমাথা বাসস্ট্যান্ডে হামলা ও পিকআপ মালিক সমিতির কার্যালয় ভাঙচুর, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। এজন্য মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, সুন্দরগঞ্জ ও পীরগাছা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘট সমর্থনে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সাতমাতা এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। এর আগে মোটর শ্রমিকরা সকাল থেকে সাতমাতা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাতমাথার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। পরে সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সাজু, জেলা পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম প্রমুখ।
ক্তারা বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে নগরীর সাথমাতা এলাকায় রংপুর জেলা পিকআপ মালিক সমিতির অফিস ভাঙচুর করে। এরপর তারা বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ও সাতমাথায় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনা থানা পুলিশকে অবগত করার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
তাই তারা বাধ্য হয়ে সোমবার থেকে রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, সুন্দরগঞ্জ ও পীরগাছা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।