বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে শিক্ষকসহ ১২জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ছড়ারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রশিবির এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষকরা।
আহত শিক্ষকরা হলেন-ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সাবরিনা আলম, প্রাণ রসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সোনম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরীন আরা চৌধুরী, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, মার্কেটিং স্টাডিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পালি বিভাগের সুদীপ্ত বড়ুয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. আশরাফুজ্জামান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ।
এছাড়া হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃত নাথ, চালক মাহবুব ও আরিফও আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকালে শিক্ষকদের বহনকারী বাসটি নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা বাসের সামনে অবরোধ সৃষ্টি করে ভাংচুর শুরু করে। এসময় শিক্ষকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষকদের বহনকারি বাসটি ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার দু’পাশ থেকে ১৫-২০জন যুবক এলোপাতাড়ি ইট পাথর ছুড়তে থাকে। লাঠিসোটা নিয়ে তারা বাসে হামলা চালায়। ৫-৬টি ককটেলও নিক্ষেপও করে তারা। এসময় পাথর ও গাড়ির ভাঙ্গা কাঁচের আঘাতে শিক্ষকরা আহত হন।’
শিবির কর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত নায়েক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন,‘আহত শিক্ষকদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’