শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বেগুনের কেজি ১২০ পিয়াজ ৫০ টাকা

বেগুনের কেজি ১২০ পিয়াজ ৫০ টাকা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে। বেড়েছে পিয়াজের দাম। ৩০ টাকার পিয়াজ এখন হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে আলু, মাংস, রসুন ও আদার দাম। এছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে শাকসবজির বাজার। কোন বাজারেই যে কোন ধরনের সবজি প্রতি কেজি ৫০ টাকার কমে মিলছে না। গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, মিরপুর শাহ আলী কাঁচাবাজার, হাতিরপুল ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্য পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন।

পক্ষান্তরে খুচরা ব্যবাসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানিকারক ও আড়তদারদের দায়ী করছেন। গতকাল মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। জানতে চাইলে এখানকার কয়েকজন সবজি বিক্রেতা বলেন, রমজানের শুরুতেই বাজারে বেগুনের সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। আড়তে বেগুন নেই বললেই চলে। যেগুলো তারা কিনে আনেন সেগুলোও ১০০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আবার কিছু থাকে পোকায় খাওয়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন বেগুন অন্যান্য সবজির মতো দ্রুত পচনশীল নয়। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পুরো রমজানের মুনাফার আশায় বাজারে বেগুনের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছেন। রমজানের শুরুতে পিয়াজ ছিল ৪০ ছুঁই ছুঁই। এখন তা ৫০ টাকা। সমপ্রতি ভারত পিয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেয়াতে দেশের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছে বলে জাানলেন কাওরানবাজারের কয়েকজন পিয়াজ ব্যবাসয়ী।
গতকাল কাওরানবাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশী পিয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া আমদানি করা বড় আকারের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। কাওরানবাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিয়া জানান, ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর পর থেকেই পিয়াজের মূল্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আমদানিকৃত বড় কোয়ার রসুন বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজিতে। কোথাও তা ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানিকৃত চীনা আদা বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। দেশে উৎপাদিত ও ইন্দোনেশিয়ান আদা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে রমজানের শুরুতে চাল, ছোলা, চিনি, সয়াবিন তেল, মশুর ডালের দাম বেড়েছিল। এগুলো বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
তবে মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশনের মূল্যতালিকা বেশির ভাগ মাংসের দোকানে নেই। যে সব দোকানে ছিল তারাও ডিসিসির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করেছেন। গতকাল হাতিরপুল বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাসির মাংস ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে মুরগির দাম এ সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে। গতকাল মিরপুর শাহ আলী মার্কেটে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। লেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি।
বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও দাম কেন বাড়ছে এ নিয়ে ক্ষোভ ক্রেতাদের। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া টমেটো ৭০, করলা ৬০, মুলা ৫০, লতা ৫০, বরবটি ৪০, পেঁপে ৪০, পটোল ৪০, শসা, ৫০, ঝিঙ্গে ৫০, কাকরোল ৪০, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০, ধনেপাতা ২০০, পুদিনা পাতা ২০০, ভেন্ডি ৪০, গাজর ৫০, চিচিঙ্গা ৫০, ধুন্দল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাওরানবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেতে পচে যাচ্ছে। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ঢাকায় আনতে গিয়ে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দাম বাড়ছে।