স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভেজাল ও নকল খাওয়ার স্যালাইন তৈরি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পাবনায়। জেলাটির অনেক এলাকাতেই রয়েছে অবৈধ কারখানা, যেখানে খাওয়ার স্যালাইন ও টেস্টি স্যালাইন তৈরি হয়। নামিদামি কোম্পানিগুলোর স্যালাইনের মোড়ক হুবহু নকল হয় কোনও-কোনও কারখানায়। আবার নিজেদের ডিজাইন করা মোড়কও আছে। একেকটি স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকায়। উৎপাদনের পর এগুলো বিক্রিতে সহায়তা করছেন একশ্রেণির অসাধু ফার্মেসি-মালিক। খাবার স্যালাইন তৈরির আগে ফার্মেসি-মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অবৈধ উৎপাদনকারীরা। কম মূল্যে সরবরাহকৃত এসব স্যালাইন বেশি মুনাফার লোভে অনেক ফার্মেসি-মালিকরাও বিক্রি করছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা এসব স্যালাইন খেয়ে পড়ছেন জীবনঝুঁকিতে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নকল ও ভেজাল স্যালাইনের কারখানা উদ্ঘাটন করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানকারী দল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সানফুড প্রডাক্টস, নিয়মফুড প্রডাক্টস লিমিটেড, এসওএস ফুড অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড। এর মধ্যে দুটিই পাবনায়। এ ছাড়া আইসিডিডিআরবির স্যালাইন নকল করার অভিযোগে ঢাকায় আরও দুটি নামহীন প্রতিষ্ঠানকে বেশ কয়েক দিন আগে জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর মতে, ভেজাল স্যালাইন ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় ঠিকমতো কাজ তো করেই না, উল্টো মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি সবাইকে ভেজাল খাবার স্যালাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে তারা যৌথভাবে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতও এসব অপরাধে অর্থদ- ও কারাদ- দিচ্ছেন।