বাংলাভূমি২৪৫ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের জন্য চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম ও চীনের পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী চি ক্যু মাও নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ স্মরকে সই করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বাসসের।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, চীন একশ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে সুড়ঙ্গ পথটি নির্মাণ করবে।
এর আগে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর মধ্যে দুটি চুক্তি হচ্ছে-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হলে সোমবার দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দেশের প্রথম ও চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে প্রস্তাবিত মাল্টিলেন রোড টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) ও অভি অরূপ অ্যান্ড পার্টনার হংকং লিমিটেড (জেভি) সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
প্রতিবেদন বলা হয়, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে প্রস্তাবিত মাল্টিলেন রোড টানেল নির্মাণে খরচ হবে ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল নির্মাণে সময় লাগবে চার বছর।
প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘জিটুজি’র মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ সরকারের সাড়ে পাঁচ শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। বাকি টাকা বিনিয়োগ করবে চীন সরকার।’
এর আগে ২০১২ সালে টানেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সিসিসিসি ও জেভি কোম্পানি দুটি শাহ আমানত সেতু, বারিক বিল্ডিং মোড় ও পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি এলাকায় জরিপ চালায়। শহরের অবস্থা, যানজট, নির্মিত রাস্তাঘাট ও গভীর সমুদ্রবন্দরের কথা মাথায় রেখে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি এলাকাকে বাছাই করা হয়।