শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > বিশ্বকাপ ঃ হোটেলে-মোটেলে সয়লাব যৌনকর্মী

বিশ্বকাপ ঃ হোটেলে-মোটেলে সয়লাব যৌনকর্মী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে ঘড়ির কাঁটা। আর মাত্র ৪ দিন পরই পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের। সেই জমকালো আয়োজনে অংশীদার হতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাম্বা’র দেশে ছুটছে দর্শক, পর্যটক। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের ছুটে চলা। এই দুরন্ত চলায় যেন তারা ক্লান্ত না হন, মেজাজ বিগড়ে না যায় সে জন্য ব্রাজিলের হোটেল, মোটেল সর্বত্রই নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির বেশির ভাগ আবাসিক হোটেল গিজগিজ করছে ভিড়। একদিকে যখন বিশ্বকাপের মাঠে জমবে স্নায়ুযুদ্ধ, ঠিক তেমনি পর্দার আড়ালে চলবে আরেক যুদ্ধ। সে যুদ্ধ অবশ্য এখন আর পর্দার আড়ালে নেই। একেবারে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। তা হলো বিশ্বকাপের আসর থেকে যৌনকর্মীদের উপার্জনের কৌশল। হোটেলে, মোটেলে সবখানে তারা। ব্রাজিলে দেহ ব্যবসা বৈধ। এ কারণে, কোন রাখঢাক না রেখে হোটেলে হোটেলে বসেছে নীল আলোর খেলা। নানা আয়োজন সেখানে। হোটেল কর্তৃপক্ষ বেশি দর্শক বা পর্যটককে আকর্ষণ করতে সমাবেশ ঘটিয়েছে সুন্দরী দেহপসারিণীদের। সমাজের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় সব শ্রেণীর যৌনকর্মী আছে সেখানে। চাহিবামাত্র এসে হাজির। আবার কোন কোন হোটেলে অতিথির কাছে এগিয়ে গিয়ে সুন্দরী নির্বাচনের আহ্বান জানানো শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। বিশেষ করে রিও ডি জেনিরো ও বড় অন্য সব শহরগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ সুযোগে শুধু যৌনকর্মী সরবরাহ দিয়ে অর্থ উপার্জনই নয়, একই সঙ্গে হোটেলগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। এখন কোন হোটেলে আর নতুন করে সিট পাওয়ার যো নেই। সব বুক্ড। সেখানে অতিথিকে রাতে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকছে। শুধু রাত নয়, যখন প্রয়োজন অর্ডার দিলেই সামনে এসে হাজির নয়নকাড়া সুন্দরী। এ জন্য কোন কোন হোটেলের ভাড়া তুলনামূলক কম। এর মাধ্যমে বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার চেষ্টা নেয়া হয়েছে। অনেক হোটেলে রাখা হয়েছে প্রাইভেট পুল, ‘যৌন আরামদায়ক’ চেয়ার। সাও পাওলোতে ট্রাভেল বিষয়ক এক পরামর্শক মাইকেল ফিন বলেছেন, ব্রাজিলজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মোটেল। এর উদ্দেশ্য যে সব যুবক বাড়িতে বসবাস করে তাদেরকে আনন্দ দেয়া। তারা যাতে বিয়ের আগে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে- সে আয়োজন রয়েছে এসব হোটেল, মোটেলে। তবে এসব হোটেলকে নিষিদ্ধ পল্লী ভাবা ঠিক হবে না। সাও পাওলোতে ৬০ কক্ষবিশিষ্ট লুস মোটেল চালান ফেলিপ মার্টিনেজ। তিনি বলেন, বিদেশী অতিথিদের ভয়াবহ চাপ তার ওপর। প্রতিদিনই অতিথি আসছে। তাদেরকে আর তিনি থাকার জায়গা দিতে পারছেন না। তার ধারণা বিশ্বকাপ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে। বিক্রি বেড়ে যাবে শতকরা ২০ ভাগ। এক রাতের জন্য তিনি একটি কক্ষ ভাড়া দিচ্ছেন ১০৫ ডলার থেকে ৬২০ ডলার। অর্ধবেলা থাকার জন্য অতিথিরা সাধারণত যে ভাড়া দিয়ে থাকেন এ ভাড়া তার দ্বিগুণ। তিনি অতিথিদের আকৃষ্ট করতে ইংরেজি ভাষায় ওয়েবসাইট চালু করেছেন। এর একটি হলো বুকিং ডটকম ও একপেডিয়া। পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে পর্তুগিজ ভাষার ওয়েবসাইট। এতে রয়েছে ওপিয়াম, সুইং ও ফেটিশ জাতীয় মোটেলের নাম। এসব সাইটে খুঁজলে সন্ধান মিলবে ওয়াটার বেড, যৌন আরামদায়ক চেয়ার, ড্যান্স ফ্লোর ও পার্টি স্যুট। একটি ওয়েবসাইটের মুখপাত্র ক্যাটি মেরিল বলেন, লাভ মোটেলগুলোর ভাড়া নিয়ে দর কষাকষির ব্যবস্থা আছে।