রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > মায়ানমারের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ চায় বাংলাদেশ

মায়ানমারের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপ চায় বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আস্থার সঙ্কট কাটাতে মায়ানমারের সঙ্গে নিয়মিত নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করতে চায় বাংলাদেশ। তাই এরইমধ্যে দেশকিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক একটি নিরাপত্তা সংলাপ সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৮ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার অষ্টম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক। এর আগে ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সপ্তম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, এবারের বৈঠকে নিরাপত্তা বৈঠক নিয়ে সমঝোতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ, এ সমঝোতা স্বাক্ষর হলে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করা যাবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যেকোন বিষয়ে আস্থার সংকট কমে আসবে।

এছাড়াও মায়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান, সীমান্ত পথে মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে দু’দেশের সহযোগিতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।

জানা যায়, চলতি মে মাসে দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তা বৈঠক বিষয়ক একটি সমঝোতা হওয়ার কথা ছিলো। এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে একটি খসড়া প্রস্তাব মায়ানমারকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

নিরাপত্তা সংলাপ ছাড়াও এবারের বৈঠকে মায়ানমারের সঙ্গে সম্পূরক সীমানা প্রটোকল নিয়ে আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ। ১৯৬৬ সালে প্রথম পাকিস্তান ও বার্মার মধ্যে সীমান্ত প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময়ে নাফ নদীকে সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত করে দুই দেশ।

এরপর ১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে এর সম্পূরক সীমান্ত প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০০৭ সালে দুই দেশই এটিকে প্রাতিষ্ঠানকি রূপ দিতে সব অনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। যদিও দুই দেশেই অনুসমর্থনের অনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার চাচ্ছে উভয় দেশের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে এটি করিয়ে নিতে। চুক্তির মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, সীমান্ত পিলার রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম