শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসককে কারাদ-

গাজীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসককে কারাদ-

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালতের আদেশ অমান্য করায় গাজীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সৈয়দ মিজানুর রহমানকে এক মাসের কারাদ- দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করায় মিজানুর রহমানসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে দ- দেওয়া হয়।
বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাকলাদার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ এপ্রিল এ রায় দেন।
চারজনের মধ্যে ভাওয়াল রাজকোর্ট অব ওয়ার্ডসের সাবেক ব্যবস্থাপক আবদুর রউফকে ১৫ দিনের কারাদ- ও এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, ভাওয়াল রাজকোর্ট অব ওয়ার্ডসের সহকারী ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেনকে পাঁচ দিন করে কারাদ- দেওয়া হয়।
অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে চারজনকে। তাঁরা হলেন গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার আলমগীর আলম, জয়দেবপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, গাজীপুরের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহজালাল ও আনসার অ্যাডজুট্যান্ট পবিত্র কুমার সাহা।
রায়ের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী খলিলুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করায় আদালত সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ চারজনকে দ- দিয়েছেন। ক্ষমা প্রার্থনা করায় অন্যদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাদীকে ইতিমধ্যে বাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ৩(২) বিধি অনুসারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করার জন্য দোষী প্রমাণিত হলে আদালত যে কাউকে ছয় মাস জেল ও জরিমানার আদেশ দিতে পারেন।
আইনজীবী সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুরা এলাকার আবুল কালাম ওরফে কলিউল্লাহ নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের শঙ্কায় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করলে তা খারিজ হয়। পরে উচ্ছেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৮ সালের ৩ মার্চ উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। এই আদেশ উপেক্ষা করে ওই বছরের ৩ ও ৫ মার্চ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
আইনজীবীরা জানান, এ অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ কলিউল্লাহ নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করার অভিযোগে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। আর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ এপ্রিল রায় দেন আদালত।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান। গাজীপুরের সাবেক এসপি ও ওসির পক্ষে ওমর সাদাত, সৈয়দ মিজানুর রহমানের পক্ষে আবদুল হক, পবিত্র কুমার সাহার পক্ষে মো. আসাদুল্লাহ ও শাহজালালের পক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ শুনানি করেন।
শাহজালালের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল। আদেশের বিষয়ে আইনজীবী সনদ দেখানো হলেও বিবাদীরা তা অমান্য করে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। তাই আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অবমাননার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত শাহজালালকে অব্যাহতি দিয়েছেন।