স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকের বাদ্য, শাখ-শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা। পাঁচদিনব্যাপি পূজার আজ মহাসপ্তমী।
বাসন্তী পূজাকে দ্বিতীয় দূর্গা পূজা হিসেবেও অভিহিত করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। মা দূর্গাকে বসন্তকালে পূজা করার কারণে এটিকে বাসন্তী পূজা বলা হয়ে থাকে।
রাইজিংবিডির শেরপুর প্রতিবেদক জানান, সারা দেশের মত শেরপুরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হচ্ছে বাসন্তী পূজা। শহরের রঘুনাথ বাজার কালি মন্দিরের পুরোহিত শ্রী সঞ্জিৎ চক্রবর্তী জানান, চৈত্র মাসের শুল্ক পক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে বাসন্তী পূজা শুরু হয়েছে। চলবে দশমী তিথি পর্যন্ত।
কথিত আছে রাজা যশরথ তার হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেণ। সেই থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে বসন্তকালে এ পূজা করে আসছেন।
শেরপুর জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার কালিমন্দির, কালির বাজার ভবতারা কালিমন্দির ও শিববাড়ী কালিমন্দির ছাড়াও শ্রীবরদী উপজেলার রাণী শিমুলের একটি মন্দিরে এ বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামী ৯ এপ্রিল বুধবার দশমী পূজার মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা শেষ হবে।