রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > এক ক্লাসে পড়াতে গেলে অন্যটিতে খেলার ছুটি!

এক ক্লাসে পড়াতে গেলে অন্যটিতে খেলার ছুটি!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ শিক্ষক আলমগীর হোসেন না এলে বন্ধ থাকে বিদ্যালয়। ২৫০ শিশুর শিক্ষার দায়িত্বে এখন তিনিই। আর তাই জোড়া-তালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এক ক্লাসে পাঠদান চললে অন্য শিক্ষার্থীরা তখন মাঠে খেলাধুলা করে।

এভাবেই চলছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কবলে পড়া প্রতিষ্ঠানটির বাস্তব চিত্র আজ এমনই।

অথচ বেশ সুনাম ছিল কান্দি ইউনিয়নের পাঠক শিকড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার্থীদের বৃত্তিলাভসহ লেখাপড়ায় বেশ সুনাম অর্জন করে আসছিল বিদ্যালয়টি। ২০০৬ সালের ৯ মে প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম অবসরে যান। এর পর দীর্ঘ ৮ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য। চারজন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে গত বছরের ১৪ আগস্ট একজনকে প্রেষণে বদলি করা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রশিক্ষণে গেছেন দুইজন। এখন শুধু আলমগীর হোসেনই রয়েছেন।

তিনি একাই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ২৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আর তা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে সেদিন বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হয়। শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কোনো রকমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার যখন তিনি পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস নিচ্ছিলেন, তখন অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ছিল মাঠে। কেউ ক্রিকেট খেলছে, কেউবা অন্য খেলায় ব্যস্ত। বিষয়টি তাদের কাছে বেশ মজার বটে। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তছলিমা আক্তার জানায়, স্যার না থাকায় আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। তাই আমরা মাঠে খেলছি।

তবে শিশুরা স্কুলে ক্লাসের সময় খেলাধুলায় মজা পেলেও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ। বিদ্যালয়টির বাস করেন খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে মেয়ে এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। শিক্ষক না থাকায় ঠিকমতো ক্লাস হয় না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার জন্য নয়, খেলার জন্য বিদ্যালয়ে যায়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হরি শংকর সরকার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ একজন সহকারী শিক্ষক দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ প্রতিদিন