বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মাঠে এখন দুলছে বোরো ধান। আছে গম ও বাহারি সবজি। এরই মধ্যে উঁকি দিচ্ছে দ্বিতীয় দফার দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা। তাই আর স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না কৃষকরা। স্বপ্নেবোনা সোনার ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে প্রকৃতির কৃপা প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অর্থাৎ ২৭, ২৮ তারিখে বজ্রসহ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে এ সম্ভাবনা প্রবল।
পূর্বাভাস প্রসঙ্গে আবাহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহাওয়া দু’থেকে তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।’
এদিকে বোরো ধানে শীষ আসার সময় হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া থাকলে ধানের মাঝখান থেকে ভেঙে যেতে পারে। এতে ধানে চিটার পরিমাণ বাড়বে। কমে যাবে ফলন। বোর ধানের পাশাপাশি বিআর-২৮ ও ২৯ ধানেও একই সমস্যা হতে পারে। কৃষিবিদ গৌতম চক্রবর্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ তথ্য।
তিনি আরো জানান, এসময়ের বৃষ্টিপাতে শুধু ধানই নই, ক্ষতিগ্রস্ত হবে গমও। অতিমাত্রায় দমকা হাওয়ার হলে একটি গমের এক শীষের সঙ্গে আরেক শীষ বাড়ি খাবে। এতে গমের গায়ে সৃষ্টি হবে ক্ষত।
এছাড়াও ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মাঠে থাকবে পেঁয়াজ। অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে দেখা দেবে পিঁয়াজের গোড়াপচা রোগ। এতে বিপুল পরিমাণে পিঁয়াজ নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া আলু, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি ও বাধাঁকপির খেতেও সমস্যা হবে।
আহবাওয়ার বিরূপ আচরণ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ গৌতম কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম একটি নিদর্শন বৃষ্টিপাতের ধরন পাল্টে যাওয়া। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে তেমন বৃষ্টি হয় না। আশ্বিন মাসে পাঁচদিন এমন পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় যে তাতে রীতিমত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খরাসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে নিম্নমুখি হয়ে সেচ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এর ফলে কৃষির উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলামেইল২৪ডটকম