শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আ.লীগ-৩৫ বিএনপি-৩৮ জামায়াত-১২ অন্যান্য-১২

আ.লীগ-৩৫ বিএনপি-৩৮ জামায়াত-১২ অন্যান্য-১২

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৯৭টি উপজেলারই বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৩৫টি, বিএনপি সমর্থিত ৩৮টি, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ১২, জাতীয় পার্টি একটি, ইউপিডিএফ প্রার্থী দুইটিতে, জনসংহতি সমিতির এক এবং স্বতন্ত্র হিসেবে ৮ জন জয়লাভ করেছেন।

ঢাকা বিভাগ
কিশোরগঞ্জ: বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের ছারোয়ার আলম। নিকলীতে আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম। করিমগঞ্জে বিএনপির সাইফুল ইসলাম।

গোপালগঞ্জ: কাশিয়ানীতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জানে আলম হিরু। মকসুদপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল আলম।

মাদারীপুর: কালকিনীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান।

শরীয়তপুর: জাজিরায় আওয়ামী লীগের মোবারক আলী সিকদার। ডামড্যায় আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন মাঝি। ভেদরগঞ্জে বিএনপির আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। গোসাইরহাটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সৈয়দ নাসিরউদ্দিন।

রাজবাড়ী: সদরে বিএনপির এমএ খালেক। পাংশায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদ হাসান। বালিয়াকান্দীতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম।

জামালপুর: সদরে বিএনপির আমজাদ হোসেন। সরিষাবাড়ীতে বিএনপি সমর্থিত ফরিদুল কবির তালুকদার।

নেত্রকোনা: দূর্গাপুরে আওয়ামী লীগের এমদাদুল হক খান। কেন্দুয়ায় বিএনপি সমর্থিত মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল।

ঢাকা: দোহারে বিএনপির বিদ্রোহী কামরুল হুদা। নবাবগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত আবু আশরাফ।

নরসিংদী: পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সৈয়দ জাবেদ হোসেন। বেলাবোতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আহসান হাবীব।

গাজীপুর: কাপাসিয়ায় বিএনপির খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা।

মানিকগঞ্জ: দৌলতপুরে বিএনপির তোজাম্মেল হক। শিবালয়ে বিএনপি সমর্থিত আলী আকবর। সাটুরিয়ায় বিএনপির বশিরউদ্দিন। সিংগাইর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত আবিদুর রহমান রোমান।

খুলনা বিভাগ
যশোর: অভয়নগরে বিএনপির নুরুল হক মোল্লা।

মেহেরপুর: সদরে আওয়ামী লীগের গোলাম রসুল।

খুলনা: কয়রায় জামায়াতের আ খ ম তমিজউদ্দিন। দিঘলীয়ায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম খান।

সাতক্ষীরা: আশাশুনিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবি এমডি মোস্তাকিম।

কুষ্টিয়া: সদর উপজেলায় বিএনপির জাকির হোসেন। ভেড়ামারা উপজেলায় বিএনপির তৌহিদুল ইসলাম।

মাগুরা: সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ। শ্রীপুরে বিএনপির বদরুল আলম।

ঝিনাইদহ: সদরে বিএনপির আব্দুল আলিম। কোটচাঁদপুরে জামায়াতের তাজুল ইসলাম। কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী। শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন।

নড়াইল: কালিয়া আওয়ামী লীগের আজিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম বিভাগ
খাগড়াছড়ি: সদর উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রার্থী চঞ্চুমনি চাকমা। রামগড় উপজেলায় বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভুইয়া। মহালছড়িতে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) বিমল কান্তি। মাটিরাঙায় বিএনপির তাজুল ইসলাম। পানছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থিত সর্বোত্তম চাকমা। মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ম্রাগ্য মারমা।

চট্টগ্রাম: হাটহাজারীতে বিএনপির মাহবুবুল আলম চৌধুরী। মিরসরাই উপজেলায় বিএনপির নূরুল আমিন।

রাজশাহী বিভাগ

পাবনা: আটঘড়িয়ায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলাম খান। সুজানগরে আওয়ামী লীগের আবুল কাশেম। সাথিয়ায় জামায়াতের মাওলানা মোখলেসুর রহমান।

রাজশাহী: মোহনপুরে বিএনপির আব্দুস সামাদ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: নাচোল উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুল কাদের নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া: দুপচাঁচিয়ায় জামায়াতের আব্দুল গনি। সোনাতলায় বিএনপির আহসানুল তৈয়ব। শেরপুরে জামায়াতের দবিবুর রহমান। নন্দীগ্রামে জামায়াতের নূরুল ইসলাম। ধুনটে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী একে এম তৌহিদুল ইসলাম। সারিয়াকান্দিতে বিএনপির আব্দুল হির মণ্ডল।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী একে এম তৌহিদুল ইসলাম

নওগাঁ: মহাদেবপুরে বিএনপি সমর্থিত আব্দুস সাত্তার। রানীনগরে বিএনপির আল ফারুক।

সিরাজগঞ্জ: সদরে আওয়ামী লীগের রিয়াজউদ্দিন। রায়গঞ্জে বিএনপির অহিদুল হক। উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের মারুফ বিন হাবিব। কাজীপুরে আওয়ামী লীগের মো. মোজাম্মেল হক সরকার।

নাটোর: সিংড়ায় বিএনপি সমর্থিত আবুল কালাম আজাদ।

রংপুর বিভাগ
পঞ্চগড়: সদরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ার সাদাত। আটোয়ারীতে বিএনপির আব্দুর রহমান। বোদায় জামায়াত সমর্থিত শফিউল্লাহ। দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাসনাত জামান চৌধুরী জর্জ।

দিনাজপুর: খানসামায় বিএনপির শহীদুজ্জামান শাহ। কাহারোলে বিএনপি সমর্থিত মামুনুর রশিদ চৌধুরী।

কুড়িগ্রাম: ভুরুঙ্গামারীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. নুরুন্নবী চৌধুরী। ফুলবাড়ীতে বিএনপির মো. নজির হোসেন। উলিপুরে বিএনপির হায়দার আলী মিয়া।

রংপুর: মিঠাপুকুরে জামায়াতের গোলাম রব্বানী। তারাগঞ্জে স্বতন্ত্র হিসেবে শামসুল কাদের নির্বাচিত।

গাইবান্ধা: গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত ফারুক কবির আহমদ। সাঘাটায় জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির গোলাম শহিদ রঞ্জু।

নীলফামারী: জলঢাকায় জামায়াত সমর্থিত আলহাজ সৈয়দ আলী। ডিমলায় আওয়ামী লীগের তরিকুল ইসলাম। সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের জাওয়াদুল হক।

বরিশাল বিভাগ

ভোলা: লালমোহন উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. গিয়াস উদ্দিন।

বরিশাল: গৌরনদীতে আওয়ামী ণীগের শাহ আলম খান। বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. শামসুল আলম।

সিলেট বিভাগ

সিলেট: গোয়াইনঘাটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আব্দুল হামিদ চৌধুরী। বিশ্বনাথে বিএনপির সোহেল আহমদ। জৈন্তাপুরে জামায়াতের জয়নাল আবেদীন। কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের আব্দুল নাজিম। গোলাপগঞ্জে জামায়াতের নাজমুল ইসলাম। জকিগঞ্জে বিএনপির ইকবাল আহমেদ।

সুনামগঞ্জ: দক্ষিণ সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম। দোয়ারাপাড়ায় আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক। ছাতকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অলিউর রহমান বকুল।

মৌলভীবাজার: কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুল ইসলাম।

হবিগঞ্জ: বাহুবলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাই।

চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফায় বুধবার দেশের ৯৭টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টার পরে শুরু হয় গণনা। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জামাদি স্ব স্ব কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আনা হয়।

কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, মাত্র দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া ৯টি উপজেলায় ভোটকারচুপি ও কেন্দ্র দখলসহ প্রতিপক্ষের প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কিছু প্রার্থী।

ঘটনার প্রতিবাদে সেসব উপজেলায় হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে এই ৯৭টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিলেন ৬৬ জন। এছাড়া বিএনপির ১৪ জন, জামায়াত ৮ এবং বিদ্রোহী প্রার্থীসহ অন্যরা জিতেছিলেন ৯টি উপজেলায়। বাংলামেইল ডেস্ক