শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিরূপ আবহাওয়ায় প্রথম ওয়ানডে খেলা অনিশ্চিত

বিরূপ আবহাওয়ায় প্রথম ওয়ানডে খেলা অনিশ্চিত

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে লড়াই শুরচ হচ্ছে আজ। সোমবার দুপুর একটায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরচ হওযার কথা তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।

কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ম্যাচের ভাগ্য। অনেকাংশে সূর্যের আলোর ওপর নির্ভশীল হয়ে পড়েছে খেলাটি। সূর্যি মামা হাসলেই মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।

আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী আজো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দিবা-রাত্রীর ম্যাচ বলে খেলাটি মাঠে গড়ানোর সম্ভবনা আছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর শিশির পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার প্রতিবেদনে। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

আজকের ম্যাচের আগে পর্যন্ত ৩৩টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ২৮টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। অবশিষ্ট চারটি ম্যাচে জিতেছে টাইগাররা। তার মধ্যে তিনটি ছিল দেশের মাঠে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ড্র করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান স্বাগতিকদের পক্ষেই কথা বলছে।

২০১২ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল টাইগাররা। এবারো সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে চায় স্বাগতিকরা। যদিও এযাবৎ এশিয়া কাপের পরিসংখ্যান লঙ্কানদের পক্ষেই কথা বলে। তবে বিগত কয়েক বছরে মুশফিকের মাঠের পারফর্মেন্স বলে অন্য কথা। অভিজ্ঞতার কিছু ঘাটতি থাকলেও দিন দিন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতিতে কি করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা শিখতে শুরচ করেছে। তার এরইমধ্যে দিয়েছে তামিম-সাকিবরা।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে পালেক্কেলেতে শ্রীলঙ্কার বিরচদ্ধে তিন উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে এশিয়া কাপে পাঁচ উইকেটে জয়টা তো এখনো সুখ স্মৃতি হয়ে আছে। আর তৃতীয় জয়টা ছিল ২০০৯ সালে মিরপুরেই ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম জয়টা এসেছিল ২০০৬ সালে বগুড়ায় চার উইকেটে।

২০১২ সালে এশিয়া কাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওডিআই খেলার প্রায় দুই বছর পর নিজ মাটিতে সিরিজ খেলবে মুশফিকরা। নিজ মাটিতে শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ার স্মৃতি অবশ্যই এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। সেই দলে ছিলেন মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, নাসির, মাহমুদুল্লাহরা।

এবার দল থেকে বাদ পড়েছেন স্পিনার রাজ্জাক, পেসার নাজমুল, শাহদাত হোসেন আর জহুরচল ইসলাম। পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে দলের যারা বাদ পড়েছেন তারা ছাড়া বাকিরাই মূলত দলের কান্ডারি।

এ ছাড়া ওডিআই দলে আসা আনামুল হক-মমিনুল হক নতুন হলেও তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন। আর নাইম ইসলাম তো পুরাতন পরীক্ষিত সৈনিক।