শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আদাজল খেয়ে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি

আদাজল খেয়ে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ জাতীয় নির্বাচনের রেশ না কাটতেই আরেকটি নির্বাচনী বল রাজনীতির মাঠে ছেড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এই নির্বাচনে দলীয় পরিচয় দেয়ার সুযোগ না থাকলেও নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে বিভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি উপজেলা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের আশায় আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে জাতীয় নির্বাচন বয়কট করা বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটও। বিগত সিটি করপোরেশনের মতো এই নির্বাচনেও বড় ধরনের বিজয় পাবেন বলে আশা করছেন দলটির নেতারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলকে গতিশীল করার পাশাপাশি চলমান আন্দোলনের কৌশল হিসেবেই উপজেলা নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছে বিএনপি। নির্বাচনে যেন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে জন্য চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সবকিছু দেখবালের জন্য গঠন করা হয়েছে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি কমিটিও।

দলের ৪ যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানা গেছে। তারা গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি উপজেলায় সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বরকত উল্লাহ বুলু বাংলামেইলকে বলেন, ‘তৃণমূল থেকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যেখানে একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেখানে একক প্রার্থীর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। কয়েক জায়গায় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।’

সূত্র জানায়, যেসব স্থানে ১৯ দলীয় জোট সমর্থিতদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে দলের হাইকমান্ড তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাতে আশাতীত ফলও হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে উপজেলাগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে দাঁড়াচ্ছেন। আবার দীর্ঘদিন যারা দল থেকে দূরে ছিলেন এমন নেতাদের কাছে টানা হচ্ছে। এই মুহূর্তে দল থেকে কাউকে বহিষ্কারের চিন্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির নেই। তবে তৃণমূল থেকে কাউকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সুপারিশ আসলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে সেনবাগের কাজী মফিজুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে থাকায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

কাজী মফিজুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে থাকার সুযোগ দেয়ায় ম্যাডামের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। উপজেলা নির্বাচনেও দলের সমর্থন পেয়েছি।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আহত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী। দল গুছানোর পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন আমাদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন যোগাবে।’

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম দফায় ৯৭ উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় দফায় ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ ভোটের দিন ধার্য করা হয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম