শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শিক্ষাঙ্গন > শ্রীপুরের নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়: এমপিও’তে জ্বাল সনদ দিয়ে সরকারি অর্থ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

শ্রীপুরের নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়: এমপিও’তে জ্বাল সনদ দিয়ে সরকারি অর্থ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের (ইন নং-১০৯৩৯৮) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ এমপিও’তে বি.এড কোর্সের জ¦াল সনদ জমা দিয়ে সরকারি অর্থ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তদন্তে এসব অনিয়মের প্রমাণ মিললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
জানাযায়, বিগত ২০১৯ সালের নভেম্বরে শিক্ষামন্ত্রণালয় সারাদেশে নন এমপিওভুক্ত স্কুল এমপিওভুক্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নিময় মোতাবেক এমপিওভুক্তির জন্য ওই সময় নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি তালিকাসহ অন্যান্য তথ্য অনলাইলের মাধ্যমে ব্যানবেইচ অফিসে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ নিজকে প্রধান শিক্ষক দাবী করে মোট ৭জন সহকারী শিক্ষকের আবেদন প্রেরণ করেন। এরা হলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমানের স্ত্রী আমেনা আক্তার, ছোট ভাই মোশারফ হোসেন, ভাতিজী পারভীন সুলতানা, আঃ মালেক, আঃ রহিম, জোনাক ও মনিরা। তাছাড়া অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ মোশাইদুল্যা।
এ তালিকায় কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ নিজকে প্রধান শিক্ষক দেখিয়ে তাঁর এসএসসি থেকে বি.এড কোর্স পর্যন্ত সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণী দেখায়। এ তালিতার ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় স্কুলটিকে এমপিওভুক্ত করেন। যাহা ইন নং- ১০৯৩৯৮, এমপিও কোড: ১০৯৩৭৮১২।
উল্লেখ্য, উক্ত আবেদনে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ ও আঃ মালেক ছাড়া বাকী ৫ শিক্ষককে অবৈধ নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
ডিজি অফিস এ তালিকা থেকে যাচাই বাচাই করে এদের মধ্যে দু’জন সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ (ইনডেক্স নং-৫৬৭৯১১২৭) ও আঃ মালেক(ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯১১৩০), অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন (ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯১১২৯) ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোঃ মোশাইদুল্যা (ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯১১২৮) এমপিওভুক্তি করেন। বাকী শিক্ষকদের আবেদন বাতিল করে দেন।
পূণরায় দ্বিতীয় ধাপে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ নতুন অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এমপিও’র জন্য আবেদন করেন সহকারী শিক্ষক মনিরা, আলআমিন, রুবিনা, সাজিয়া সুলতানা, রনি সরকার ও সাবিকুন নাহার।
এ সমস্ত অবৈধ শিক্ষক নিয়োগের খবর পেয়ে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলায়মান খান গত ৮/১২/২০২০ খ্রিস্ট্রাব্দে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাচাই বাচাই করে অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষকদের সব গুলি আবেদন বাতিল করেন।
একটি বিশেষ সূত্র জানায়, ডিজি অফিস কর্তৃক পূর্বে দু’ধাপে বাতিলকৃত শিক্ষকদের নিকট থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের সুবিধা নিয়ে তাদের এমপিওভুক্তির তদবিরে সংশ্লিষ্ট দফতর গুলিতে দৌড়-ঝাপ দিচ্ছেন।
স্কুলটি এমপিওভুক্তির আবেদনে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ নিজেকে প্রধান শিক্ষক দেখান। স্কুল এমপিওভুক্তির পর নিজে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) দেখিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথেও কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ ছয়-নয় করেছেন।
এমপিওভুক্তির সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সমস্ত কাগজপত্র কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ দাখিল করেন, এর সাথে শিক্ষক তালিকায় ভুয়া শিক্ষককের নামসহ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় এসএসসি থেকে বি.এড কোর্স পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ দেখান। প্রকৃতপক্ষে এসএসসি দ্বিতীয়, এইচএসসি তৃতীয় ও বিএ তৃতীয় বিভাগে উর্ত্তীণ হয়েছেন। সেই সাথে বি.এড কোর্সের সনদটি জ্বাল তৈরি করে দাখিল করেছেন।
অপরদিকে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলায়মান খান বিশেষ সূত্রে জানতে পায়, প্রধান শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোড় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের বিষয়টি। তিনি এ বিষয়ে গত ২৫/৮/২০২০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগের বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম গত ৪/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। তাতে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ, ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯১১২৭ এর স্থলে ভুলবশত ইনডেক্স নং- ৫৬৭৯১১২৪ উল্লেখ্য করে বলেন, ‘বি.এড সনদটি সম্পূর্ণ জ্বাল। এই বি.এড সনদ দিয়ে সে উচ্চতর গ্রেড (১০) গ্রহণ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করছেন। যাহা ফৌজদারী অপরাধ। এ বিষয়ে জনাব কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ এর জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জ্বালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলায়মান খান উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এ প্রতিবেদনের পর জেলা শিক্ষা অফিসারের শরণাপন্ন হয়ে স্কুল কমিটি কর্তৃক অবৈধ বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে সুরাহা এবং কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলে জেলা শিক্ষা অফিসার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।
পরে মোঃ সোলায়মান খান বাদী হয়ে গত ১৬/০১/২০২১ খ্রিস্টাব্দে গাজীপুর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং- ৩, একটি সিআর মামলা নং- ৫৩/২১, ধারা- ৪২০/৪৬৩/৪৬৪/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন। সিআইডি গাজীপুর ও মেট্রো’র পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (বিপি-৬৫৮৫০০৭৯৯৭) ব্যাপক তদন্ত করে কেবল ৪৬৩ ধারা বাতিল করে অন্যান্য ধারা বহাল রেখে গত ২৬/১২/২০২১ খ্রিস্টাব্দে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
উক্ত প্রতিবেদনের একটি অংশে উল্লেখ্য রয়েছে, ‘বাদী মোঃ সোলায়মান খান নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৭/৩/২০০০ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সুদীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর এর অধিকাল অতি সুনামের সাথে শিক্ষকতা করিয়া আসিতেছিলেন। উক্ত স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আতাউর রহমান তাঁর সহধর্মীনি মোসাঃ আমেনা আক্তার এবং ছোট ভাই মোঃ মোশারফ হোসেনকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়া বেআইনী ভাবে উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রক্রিয়া করার জন্য চাঁপ সৃষ্টি করিলে আতাউর রহমানের বেআইনী কথায় রাজী না হলে বাদীর প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ এর সহযোগিতায় ও প্ররোচনায় বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করিয়া বাদীকে আত্মপক্ষ সমর্থন না করাইয়া কোনরূপ সুযোগ না দিয়া বেআইনী ভাবে বাদীকে প্রধান শিক্ষক’র পদ হতে গত ২৪/০২/২০১৯ খ্রিস্টাব্দে অব্যাহতি দেয়ার প্রেক্ষিতে অত্র মোকদ্দমার বাদী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় লিখিত ভাবে অবহিত করিলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বাদীকে উচ্চ আদালতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। যাহার প্রেক্ষিতে মোকদ্দমার বাদী মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন, যাহার নং- ৯৭০/২০, তারিখ- ১০/০২/২০২০ খ্রি:’।
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট ওই রিট পিটিশনের দ্বিতীয় শুনানীতে গত ২৩/৬/২০২১ খ্রি: বাদীর বরখাস্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। যাহা বর্তমানে হাইকোর্টে চলমান রহিয়াছে।
যে কমিটি বিধি বর্হিভ‚ত ভাবে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন, সে কমিটিতে বেআইনী ভাবে স্কুলের করণিক মোঃ আওলাদ হোসেনকে ‘শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য’ এবং নন শিক্ষক পারভীন সুলতানাকে ‘শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য’ দেখিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন।
সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করতে গিয়ে কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথের বি.এড কোর্সের দু’টি সনদপত্র পান। একটি সনদে প্রথম শ্রেণী, অপরটি দ্বিতীয় শ্রেণী। সনদ দু’টিতে একই রোল, একই রেজিঃ নং, একই শিক্ষাবর্ষ ও একই সিরিয়াল নং। এ নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বিপাকে পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচাই বাচাইয়ের জন্য সনদ দু’টির ফটোকপি প্রেরণ করেন, কোনটি সঠিক! পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্মারক নং- জাতীঃবিঃ/পরীঃ/সনদ/৪৪৯/২০০৫/৬০৩৫, তারিখ- ০৪/১০/২০২১ খ্রিঃ মোতাবেক তদন্ত কর্মকর্তাকে অবগত করান যে, ‘জনাব কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথ এর বি.এড সাময়িক সনদপত্রের ২টি ফটোকপির রোল নম্বর- ৬১৩০০৪, রেজি: ২২৬৪৯০, পরীক্ষার সন- ২০০২ এবং শিক্ষাবর্ষ- ২০০১-০২ একই, কিন্তু ফলাফল ভিন্ন অর্থাৎ ১ম সনদের ফলাফল দ্বিতীয় শ্রেণী এবং ২য় সনদের ফলাফল- প্রথম শ্রেণী রহিয়াছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুুযায়ী সাময়িক সনদপত্র ২টির ফটোকপির তথ্য সঠিক নয়’।
এ প্রতিবেদক এ সব বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু চন্দ্র দেবনাথের সাথে কথা হয়। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলায়মান খান দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী উনাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভুয়া বি.এড সনদ দাখিল করে এমপিওভুক্তি’র ১০ম গ্রেড গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সিআইডি কর্মকর্তা আমার বিপক্ষে রিপোর্ট দিয়েছেন। এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায়। আদালত যা রায় দিবে, আমি মেনে নিব।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমানকে সহধর্মী ও ছোট ভাইয়ের নিয়োগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এসব ভুয়া নিয়োগ। আমি বলতে পারবো না। কিভাবে শিক্ষক তালিকায় গেছে, তা বলতে পারবেন প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নূরুল আমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নানা অনিয়মের কথা ইতোপূর্বেও শুনেছি। এ বিষয়ে আমি খুব সতর্ক।
আজ রবিবার (৬ মার্চ) জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, নানাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের কথা আমি পূর্বে কিছুটা শুনেছি। তবে অফিসিয়াল ভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ৪/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দে আমার নিকট কোন রিপোর্ট পাঠায়নি কিংবা আমার অফিসে বি.এড জ্বাল সনদের বিষয়ে কোন কিছু নথিভুক্ত নেই। তবে আগামীদিন এসব বিষয়ে আমি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।