শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > মনোহরদীতে মাহফিল শেষে ফেরার পথে গণডাকাতির কবলে বক্তা

মনোহরদীতে মাহফিল শেষে ফেরার পথে গণডাকাতির কবলে বক্তা

শেয়ার করুন

বিল্লাল হোসেন
নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর মনোহরদীতে ওয়াজ মাহফিল শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়েছেন কাজী আকরাম হোসেন নামে এক বক্তা এবং তার সফরসঙ্গীরা। এসময় তাঁর ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে ডাকাতি হয়।
রবিবার রাত ১টার দিকে লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদী-চকবাজার সড়কের নরেন্দ্রপুর আখড়া সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা প্রাইভেটকারে থাকা চারজনের দামি মোবাইলসেট এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া একই ঘটনায় আরো কয়েকজনকে কুপিয়ে এবং মারপিট করে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, নগদ টাকাসহ মোবাইলসেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাত ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত লেবুতলা ইউনিয়নের সাগরদী-চকবাজার সড়কের নরেন্দ্রপুর আখড়া সংলগ্ন এলাকায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতদের হামলায় ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। ডাকাতদল পথচারীদের মারপিট করে নগদ অর্থ, একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা এবং মোবাইলসেটসহ প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে মাহফিল শেষ করে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে নরেন্দ্রপুর আখড়ার কাছে পৌঁছলে ১৫-২০ জন মুখোশধারী ডাকাত রামদা, লোহার পাইপ, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তার ঢালু থেকে উঠে এসে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। পরে গাড়ীর ভেতরে থাকা সবাইকে মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহতরা হলেন, লেবুতলা ইউনিয়নের দাইরেরপাড় গ্রামের মাওলানা কাজী আকরাম হোসেন, দক্ষিণ নরেন্দ্রপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিন, চালাকচর গ্রামের মাওলানা সাইফুল্লাহ প্রধান, হাতিরদিয়ার উজ্জল মিয়া। গুরুতর আহত উজ্জল মিয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত আফতাব উদ্দিন জানান, রবিবার রাত ১১টার দিকে সাগরদী বাজার থেকে বাই সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। নরেন্দ্রপুর আখড়ার কাছে পৌঁছলে মুখোশধারী ডাকাতরা আমাকে ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে মারধর করে সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং বাইসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়।
পরে পাশের কলা বাগানে নিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। ওইখানে আরও ৫-৬ জনকে একই অবস্থায় ফেলে রাখতে দেখা যায়। ডাকাতরা দুইঘণ্টাব্যাপী সড়কের দুইদিক থেকে আসা সিএনজি, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল থামিয়ে গণডাকাতি করে।
তিনি বলেন, ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তারা একে-অপরের সহযোগিতায় শরীরের বাঁধন খুলে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হন। পরে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ‘লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’