শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > নেইমারের হ্যাটট্রিক, গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলতে পিএসজি

নেইমারের হ্যাটট্রিক, গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলতে পিএসজি

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
শেষ ষোলর টিকিট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) পেয়ে গিয়েছিল আগেই। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইস্তাম্বুল বাসাকহেরির বিপক্ষে ম্যাচটিতে সবার নজর ছিল ভিন্ন এক কারণে। আগের দিন যে লঙ্কাকাণ্ড বেঁধেছিল!

বর্ণবাদের অভিযোগে ম্যাচের ১৪ মিনিট পেরুতেই খেলা বন্ধ করে মাঠ ছেড়েছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। ফলে এক ম্যাচ শেষ হতে লাগলো দুদিন। এদিন অবশ্য অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সুযোগই দিলেন না নেইমাররা। গোলশূন্য ড্র নিয়ে ১৪ মিনিটের পর শুরু হয় খেলা। আর বাকি সময়ে বাসাকহেরিকে পাঁচ গোলের লজ্জায় ডোবায় পিএসজি।

ঘরের মাঠে বুধবার রাতে তুরস্কের দলটিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তাতে ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হয়েই শেষ ষোলতে নাম লিখিয়েছে পিএসজি। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন দলটির ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। বাকি দুই গোল ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের।

ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে বসে এক হাত ওপরে তুলে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানান রেফারি এবং দুই দলের খেলোয়াড়রা। একজন ম্যাচ অফিসিয়ালের বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগেই আগের দিন খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল দুই দল। এদিন নতুন অফিসিয়ালরা ম্যাচ পরিচালনা করেন।

২১তম মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল বের করে নেন নেইমার। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন জাল।

৩৮ মিনিটে পিএসজির দ্বিতীয় গোলটিও আসে নেইমারের পায়ে। এবার এমবাপের কাছ থেকে বল ফাঁকা গোলরক্ষকের সামনে পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তার বাসাকহেরির গোলরক্ষক পায়ে ছুঁয়ে দিলেও গোল আটকাতে পারেননি।

পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন নেইমার। গোলরক্ষক বল আটকাতে চাইলে তার গায়ে লেগে পড়ে যান নেইমার। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মিচেল বাকার বল পাঠান শূন্য জালে। তবে ভিআর দেখে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।

তবে যেহেতু গোলরক্ষক নেইমারকে ফেলে দিয়েছিলেন, পেনাল্টি পায় পিএসজি। নেইমার হ্যাটট্রিকের কথা ভাবেননি, বল দেন এমবাপেকে। এমবাপে ব্যবধান ৩-০ করেন।

যদিও দ্বিতীয়ার্ধে আর অপেক্ষা করতে হয়নি নেইমারকে। ৫০ মিনিটের মাথায় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় বল আনা নেয়া করতে করতে ডি বক্সের বাইরে থেকেই ডান পায়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পেয়ে যান চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের তৃতীয় হ্যাটট্রিক।

৫৭তম মিনিটে এক গোল দিয়ে ব্যবধান কমায় বাসাকসেহির। কর্নার থেকে বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন ইরফান হাকভেচি। মোহামেত টোপালের গায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে।

৬২ মিনিটে ব্যবধান ৫-১ করেন এমবাপে। এই গোলেও ছিল নেইমারের পায়ের ছোঁয়া। বল দিয়েছিলেন ডি মারিয়াকে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার সেটি দিয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা এমবাপেকে। সুযোগ মিস করেননি ফরাসি তারকা।