রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > স্মার্টফোন কিনতে সুদবিহীন ঋণ পাবে ৪১৫০১ শিক্ষার্থী

স্মার্টফোন কিনতে সুদবিহীন ঋণ পাবে ৪১৫০১ শিক্ষার্থী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
আর্থিকভাবে অসচ্ছল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে সুদবিহীন ঋণ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। করোনা মহামারীর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বুধবার অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

দেশের মোট ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থী এ সুবিধার আওতায় আসবেন। জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা করে পাবেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এই অর্থ বিতরণ করবে। এজন্য একটি কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৌশল নির্ধারণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক বরাদ্দের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে সংশ্লিষ্ট খাতে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসি বরাদ্দ দেবে।

সভায় ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের দ্রুততম সময়ে ‘সফটলোন’ অনুমোদন কমিটি গঠন করে স্মার্টফোন ক্রয়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সুদবিহীন ঋণ দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরাধ জানান।

সভায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কর্তৃক গঠিত ‘সফটলোন অনুমোদন কমিটির সুপারিশের আলোকে অনধিক ৮ হাজার টাকা শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারির ২০২১-এর মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীকে শুধু আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন তারা এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছে।

সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. আবু তাহের, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহ আলম যুক্ত ছিলেন। সভায় কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের।