জাহিদ আহসান
শিক্ষানবিস রিপোর্টার ॥
শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয় না, শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে শেরে বাংলা ব্রিজ থেকে শুরু করে দমদমা হয়ে শ্রীপুর, শ্রীপুর থেকে জৈন বাজার, জৈনা বাজার থেকে গাজীপুরের শেষ সীমানা পর্যন্ত ২৪ ফিট রাস্তা হয় না, শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে শ্রীপুর, প্রহলাদপুর-পিরুজালীর বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখবেন দিনের বেলা বন্ধ থাকে রাতের বেলা এমনি লাইট জ্বলে যায়, শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে মারতা, পোতাবাড়ী, বাসকোপা, নলগাঁও, ডুমনি এই স্কুলের ভবন হত না, শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে মসজিদ মাদ্রাসা অনুদান পেতেন না, শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে বিধবা মায়ের কথা চিন্তা করে বয়স্ক ভাতার প্রবর্তন করতেন না। শেখ হাসিনা যদি না থাকত তাহলে মাতৃত্ব ভাতা পেতেন না, শেখ হাসিনা না থাকলে ৩ কোটি সাধারণ শিক্ষার্থী ১ম বর্ষের ১ম বছরের ১ম দিন বই পেত না, উপবৃত্তি। শেখ হাসিনা না থাকলে মুক্তিযোদ্ধারাও সম্মান পেত না। আমি যদি মিথ্যা কথা বলে থাকি তবে রাস্তা দিয়া যাওয়ার সময় বলবেন তুমি শেখ হাসিনা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছ। এই কথা গুলো যদি একটি মিথ্যা প্রমাণিত হয় আমি চ্যালেঞ্জ করলাম তাহলে আর কোনদিন আপনাদের সামনে আসব না। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের চিত্র বক্তৃতার মাধ্যমে তুলে ধরে বিরোধীদের এভাবেই চ্যালেঞ্জ করছিলেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।
গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডুমনী মল্লিকা খাতুন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রহলাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক আকন্দের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এস এম আকবর আলী, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর নাহার মেজবাহ, জেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমীর হামজা, উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির হিমু, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের বিএসসি, মাওনা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আইয়ূব হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, প্রহলাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাজা, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন জয়, এ্যাড. খোকন, হারুন খান, কামরুজ্জামান (লিটন) প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ আ’লীগের সকল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা সাধারণ মানুষের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবেন। কোন প্রকারেই কোন দুষ্কৃতিকারী যেন খারাপ কাজ করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার অবদান ম্লান করতে না পারে আপনাদের ইকবাল হোসেন সবুজ ভাইয়ের অবদান ম্লান করতে না পারে। শেখ হাসিনা কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেয় না। আমি একজন শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কোন অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় এবং ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ আমার নাই। বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান আর সমৃদ্ধ উন্নয়ন বাংলার অপর নাম শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী আপনি আমাদের যেভাবে গড়ে তুলেছেন, আপনার কাছ থেকে শিখেছি সততা, আপনার কাছ থেকে শিখেছি এই দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, আপনার কাছ থেকে শিখেছি দেশপ্রেম, মানুষকে শ্রদ্ধাবোধ, আদর ও ভালোবাসা দিয়ে কীভাবে পেতে হয় মায়ের পরশ, বোনের স্নেহ। পিতা মুজিবের রক্তের দাগ উঠিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আপনি যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, আপনার একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জীবন দিয়ে হলেও আমার নির্বাচনী এলাকায় তা রক্ষা করব।
পদ-পদবি নিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি বলেন, আমার জীবনের প্রথম পদ গাজীপুর পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য, এরপরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি কলেজের ১ম বর্ষের বিজ্ঞান ছাত্রলীগের ‘ক’ শাখার সদস্য পদ, আমি এখন সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ, পরম করুণাময় আল্লাহ্’র দয়ায়, মানুষের দোয়ায়, জননেত্রীর আর্শিবাদ, সংসদের তিনশ জনের মধ্যে আমি একজন। আপনারা যখন জয়বাংলা স্লোগান দেন তখন আমি আমার পুরনো দিনের কথা চিন্তা করি। আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ যখন আমি ছোট্ট ইকবাল হোসেন সবুজের সাথে তুলনা করি তখন আমি বুঝি তাদের মনের আকাঙ্খা। আমিও এইভাবে নেতার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ভাবতাম নেতা যদি মুচকি হাসে, যদি একটু হ্যান্ড শেক করতে পারি আমার জীবনটা ধন্য হবে।
নতুন নেতৃত্বের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সংগঠন করতে হবে নিজেকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গড়ে। সংগঠন করতে হলে কী-পেলাম, কী-পেলাম না এটা চিন্তা করা যাবে না। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে সংগঠন করতে হবে।