শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > প্রস্তুতির ঘাটতি মেটাবে বিসিএল

প্রস্তুতির ঘাটতি মেটাবে বিসিএল

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ আজ মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল)’র দ্বিতীয় আসর। প্রথম শ্রেণীর ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে আজ প্রথম দিনেই ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের মুখোমুখি হবে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। আর বিসিবি নর্থ জোনের মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। বিশেষ করে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখেই বিসিএলের দুটি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। তাই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়াও জাতীয় দলে যারা সুযোগের অপেক্ষাতে আছেন তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিসিএল। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে জাতীয় দল ও বিসিবি নর্থ জোনের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বলেন, ‘এখন তো ফুল কনসেনট্রেশন ওই দিকেই (শ্রীলঙ্কা সিরিজ)। কারণ প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছি।

আমাদের হয়তো এরপরে ওভাবে প্রস্তুতির আর সুযোগ থাকবে না। এই রকম একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলাটা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক ভাল হবে এবং এরজন্য সবাই প্র্যাকটিস করছে সিরিয়াসলি। আশা করি খুব ভাল একটা টুর্নামেন্ট হবে। আমরা এর আগেও সবাই জানতাম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শ্রীলঙ্কা আসবে। তাই আমরা আগে থেকেই মেনটালি প্রিপেয়ার্ড ছিলাম। আমাদের হাতে সময় আছে আমরা যেন আমাদের পুরো প্রস্তুতিটা নিই। আমরা সবাই প্রস্তুত। এই ২টা ম্যাচে আল্লার রহমতে আমরা যদি সবাই আমাদের সেরাটা দেই তাহলে সবার জন্যই ভাল হবে।’

এছাড়াও মুশফিকুর রহীম এই টুর্নামেন্টের চারটি দল ও নিজেদের অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘বেস্ট ৬০ জন ক্রিকেটার ৪টি টিমে খেলছে। আমার মনে হয় লাস্ট যে টি-২০ ফরম্যাটে টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে সেটাও অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। ক্রিকেটারদের দিন দিন স্কিল বাড়ছে সেটাই তার প্রমাণ। লাস্ট ইয়ারেও অনেক ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছিল এবং আমরা রানার আপ হয়েছিলাম। এবারতো অবশ্যই লক্ষ্যে থাকবে আমাদের শুরুটা যেন ভাল হয়। ম্যাচ খেলা এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে তো খুবই ভাল। কিন্তু কালকের ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অনেক দিন পর আমরা লংগার ভার্সনে খেলছি, তাই শুরুটা ভাল খুব দরকার।’ এছাড়াও বিসিএলকে বিসিএল ছাপিয়ে সামনের টুর্নামেন্টগুলো বেশি ফোকাস হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিকুর রহীম বলেন, ‘তা তো অবশ্যই। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ। এর সব যার যার ক্যারিয়ারের সঙ্গেও যোগ হয়। তো আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কা সিরিজ তো অবশ্যই। এখান থেকে ম্যাক্সিমাম ১৫ জন খেলোয়াড় খেলবে। তারপর বাকি যারা থাকবে তাদের জন্য অবশ্যই এটা একটা সুযোগ। আমার মনে হয় ফোকাস এখন বিসিএল নিয়েই। ৪ দিনের খেলার মেজাজ এবং বোলাররা যেন লাইনলেন্থ ঠিক রেখে বল করে তার চেষ্টা করব। পরে টেস্ট সিরিজ আসছে। আমি বলব এর থেকে বড় ফোকাস আর হতে পারে না।’

ওয়ালটনের ১৫ জনের দল:

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মার্শাল আইয়ুব (সহ-অধিনায়ক), শামসুর রহমান শুভ, শাহরিয়ার নাফিস, রকিবুল হাসান, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, ইলিয়াস সানী, আরাফাত সানী, শাহাদাত হোসেন রাজিব, মোহাম্মদ শরীফউল্লাহ, মো. শহীদ, নুরুল হাসান সোহান (উইকেট কীপার), সৈকত আলী, দেওয়ান সাব্বির ও আব্দুল মজিদ।

প্রাইম ব্যাক সাউথ জোন:

এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, তাইবুর রহমান, সৌম্য সরকার, মো. মিথুন, ফজলে রাব্বি, সালমান হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউর রহমান, আল আমিন, রুবেল হোসেন, রবিউল ইসলাম, সোহাগ গাজী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাজমুল ইসলাম অপু ও শুভাগত হোম।

ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন:

তামিম ইকবাল, নাফিস ইকবাল, শফিউল ইসলাম, তাসামুল হক, জুবায়ের আহমেদ, লিটন দাস, এনামুল হক জুনিয়র, নাবিল সামাদ, নূর হোসেন, আলাউদ্দিন বাবু, মাশরাফি বিন মুর্তজা, ে তাপস বৈশ্য, ইয়াসিন আরাফাত ও অলক কাপালি।

বিসিবি নর্থ জোন:

মুশফিকুর রহিম, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, রহমান রুম্মান, ফরহাদ হোসেন, মিজানুর রহমান, সানজামুল হক, তাইজুল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, মুক্তার আলী, শুভাশিষ চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান লিমন, দেলোয়ার হোসেন, নাজমুল হোসেন ও জহুরুল ইসলাম।