স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন ১৫৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী রয়েছেন ১২৭ জন । বাকি ১৪৭টি আসনের মধ্যে গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যে ১৩৯টি আসনের বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ ১০৫টি, জাতীয় পার্টি (জাপা) ১৩টি, ওয়ার্কার্স পার্টি চারটি ও জাসদ দুটি, তরীকত ফেডারেশন ও বিএনএফ একটি করে আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ১৩টিতে। বাকি আটটি আসনে (গাইবান্ধা-১, ৩ ও ৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫, লক্ষ্মীপুর-১, দিনাজপুর-৪ এবং কুড়িগ্রাম-৪) পুনর্র্নিবাচন হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর-৩ এবং মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনে জিতেছেন।
বেসরকারিভাবে বিজয়ী অন্যরা হলেন ঢাকা-৪-এ জাপার সৈয়দ আবু হোসেন, ঢাকা-৫ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা, ঢাকা-৬ জাপার কাজী ফিরোজ রশিদ, ঢাকা-১৫ আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আওয়ামী লীগের মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, ঢাকা-১৭ বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ ও ঢাকা-১৮ আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুন।
আওয়ামী লীগের অন্য বিজয়ীরা হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান, ঝিনাইদহ-১ আবদুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ নবী নেওয়াজ, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ, গাইবান্ধা-১ মাহবুব আরা গিনি, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৬ শিবলী সাদিক, নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ, পঞ্চগড়-২ নুরুল ইসলাম, শেরপুর-১ আতিউর রহমান, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ এ কে এম ফজলুল হক, নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী, গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কক্সবাজার-৪ আবদুর রহমান, বাগেরহাট-৪ মোজামেঞ্চল হোসেন, ময়মনসিংহ-৩ মুজিবুর রহমান ফকির, পাবনা-১ শামসুল হক টুকু, নেত্রকোনা-১ ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোনা-২ আরিফ খান, নেত্রকোনা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার, খুলনা-২ মিজানুর রহমান, খুলনা-৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, পটুয়াখালী-৩ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সিরাজগঞ্জ-৫ আবদুল মজিদ মণ্ডল, সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক, নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদাউস, রংপুর-৪ টিপু মুনশি, নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার, নওগাঁ-৪ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ আবদুল মালেক, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-২ খন্দকার আসাদুজ্জামান, টাঙ্গাইল-৬ খন্দকার আবদুল বাতেন, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম, সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেঞ্চদ, কুমিল্লা-১ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-১ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মানিকগঞ্জ-১ এম এ নাঈমুর রহমান (দুর্জয়), ময়মনসিংহ-৬ মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমি গোলন্দাজ, ময়মনসিংহ-১১ এম আমান উল্লাহ, চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১১ এম আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান।
জাপার বিজয়ী অন্যরা হলেন চট্টগ্রাম-৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজার রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক, ময়মনসিংহ-৭ এম এ হান্নান, সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৭ এম এ হান্নান, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস ও বরিশাল-৪ পঙ্কজ দেবনাথ।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়ী তিনজন হলেন ঠাকুরগাঁও-৩ ইয়াসীন আলী, সাতক্ষীরা-১ মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও বরিশাল-৩ টিপু সুলতান এবং জাসদের বিজয়ী দুজন হলেন পঞ্চগড়-১ নাজমুল হক প্রধান ও বগুড়া-৪ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম। চট্টগ্রাম-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী অন্যরা হলেন নরসিংদী-২ কামরুল আশরাফ খান, কুষ্টিয়া-১ রেজাউল হক চৌধুরী, নওগাঁ-৩ ছলিম উদ্দিন তরফদার, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী ও মৌলভীবাজার-২ আবদুল মতিন।