শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > পল্লী নিবাসের ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঙ্গার বিবৃতি

পল্লী নিবাসের ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঙ্গার বিবৃতি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সম্প্রতি রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ‘পল্লী নিবাস’-এ যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, তার পাঁচ দিন পর এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি সেই ঘটনা ‘মীমাংসিত’ উল্লেখ করে এ নিয়ে ‘পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টাকারী’দের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন।

রোববার (৭ জুন) দেয়া ওই বিবৃতিতে রাঙ্গা বলেন, গত ২ জুন সন্ধ্যার পর জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর ২৭ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মসূচির বিষয়ে রংপুর-৩ এর সংসদ সদস্যের (এরশাদ পুত্র সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি) কাছে সুপারিশের জন্য যান। (পল্লী নিবাসের) বাইরের গেটটি বন্ধ থাকায় পাহারাদারকে নিজ পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়ার অনুরোধ করেন। দারোয়ান গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, গেট খুলতে সাহেবের নিষেধ আছে। ওইসময় টিপু সুলতান গেটে অপেক্ষা করতে থাকেন।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এমতাবস্থায় একটি প্রাইভেটকারে প্রিন্সসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী গেটের সামনে এলে দারোয়ান গেটি খুলে দেয়। এরপর গাড়ির পেছনে পেছনে টিপু সুলতানও পল্লীনিবাসে প্রবেশ করেন। প্রিন্স ওই সময় টিপু সুলতানকে কাছে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং প্রিন্সের সঙ্গে থাকা দুর্বৃত্তরা টিপু সুলতানকে মারধর করতে থাকে। টিপু সুলতান মাটিতে পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি লাথি-ঘুষি মারতে থাকে। পরে টিপু সুলতানকে পল্লীনিবাসের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ খবর জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগরের সব ওয়ার্ডে ছড়ালে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন সবাই পল্লীনিবাসের গেটে জড়ো হতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন আমাকে অবহিত করলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের (জিএম কাদের) সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বিষয়টি রংপুর মহানগর সভাপতি ও মেয়রের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসা করতে নির্দেশ দেই। রংপুরের মেয়র যথারীতি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং পল্লীনিবাসে গিয়ে সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, পরে নির্যাতিত ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর শাখা ও জেলা জাতীয় পার্টি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে পার্টির চেয়ারম্যান ও আমি অনুরোধ করি। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রশাসন মামলার কোনো সত্যতা না পাওয়ায় টিপু সুলতানকে ছেড়ে দেয়।

‘একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ৬ জুন (শনিবার) সকালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের নেতা কতিপয় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হ্যান্ডমাইকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ নেতাদের দোষারোপ করেন।’

ঘটনাটি মীমাংসিত এবং রংপুরের বিষয় উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, এ বিষয় নিয়ে পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। বিরোধীদলীয় নেতা (রওশন এরশাদ) বিষয়টি টেলিফোনে আমাকে এবং চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিই। যারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে- জাতীয় পার্টি তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে সারাদেশের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।