ক্যাম্পাস ডেস্ক ॥
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একদিনেই শিক্ষকসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন। শনিবার দুপুর থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা ইসলাম সুইটি শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
তিনি জানান, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় শনিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় সাবরিনা ইসলাম সুইটিকে। ওই সময় তার আইসিইউয়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা খালি ছিল না। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
একইদিন দুপুরে চবি প্রকৌশল দফতরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সহকারী গ্রন্থাগারিক মাহবুবুল আলম মাসুম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোদ্দাচ্ছির হোসাইনের বাবা শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। একই বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরিদা নাসরিনের বাবাও মারা গেছেন।
এদিকে দুই কর্মচারীর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন শোক প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেন, অকাল মৃত্যুতে কর্মচারীদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল হক দুই শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যুতে বিভাগের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।