বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিএনপি করোনাভাইরাস নিয়েও নিকৃষ্ট রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যদের এক যৌথসভায় তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নামে সংগঠনটি আজকে আন্দোলন, নির্বাচনে ব্যর্থ। আজকে তারা আইনি লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে বেগম জিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে, ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনাভাইরাস নিয়েও তারা সেই নিকৃষ্ট রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করব এ ধরনের একটা মানবিক ও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রাজনীতির বিষোদগার করা থেকে বিরত থাকবে। সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যারা সরকারের আন্তরিকতায় ঘাটতি খুঁজে তারা রাজনৈতিক কারণে এটা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা জাতীয়ভাবে এ বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করব। আমাদের মধ্যে আজকে কর্মসম্পর্ক পর্যন্ত নেই, এমন পরিস্থিতি আজকে বিএনপি ৭৫-এর পর থেকে সৃষ্টি করেছে। ২১ আগস্টে কর্মসম্পর্কের অলঙ্ঘনীয় দেয়াল আরও উঁচু করেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এটা সারাবিশ্বের গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা। অনেক দেশে আক্রান্ত হচ্ছে, আমরা প্রস্তুত আছি বলেই এটা আমাদের দেশে বিস্তার হয়নি।
এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের উপস্থিতির সঙ্গে সরকার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ সবার আগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। প্রস্তুতির ব্যাপারে কোনো ঘাটতি আমাদের নেই। যে কারণে ইতালি থেকে যে দুজন প্রবাসী এসেছে, প্রস্তুতি আছে বলেই তাদের সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়েছে। তাদের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের দুজন থেকে আর একজনের আক্রান্ত হয়েছে, তার বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া নতুনভাবে আক্রান্তের খবর নেই। সরকার সার্বিকভাবে এ ব্যাপারে প্রস্তুত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সবচেয়ে বেশি আন্তরিক। সরকারের প্রমাণ এখানেই মুজিববর্ষের মত এরকম আয়োজন শতবর্ষ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষিকী অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্ধান্ত নিয়ে করেছেন। আজকে মানুষ জীবন আগে, তারপর অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের সভা সমাবেশ এবং সেমিনার বন্ধ থাকবে।
এ সময় ঘরোয়া কর্মসূচিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
আগামী জুন মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা লীগকে কেন্দ্রীয় সম্মেলন শেষ করারও নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।