স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকামুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণার আট ঘণ্টা পর থেকে খালেদা জিয়ার রাজধানীর গুলশানের বাড়ির সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচির দিন পর্যন্ত তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখবে সরকার, এ আশঙ্কা করছেন তার দলের নীতিনির্ধারকরা। অন্যদিকে আগামী ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তাকে ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার।
খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশের অবস্থান, তার সঙ্গে শীর্ষ নেতাদেরকে দেখা করতে না দেয়া, দলের শীর্ষ নেতাদেরকে গ্রেপ্তার, সারাদেশের তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার, বৃহস্পতিবার থেকে যৌথবাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযানের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতার ধারণা, ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে খালেদা জিয়াকে অংশ নিতে দেবে না সরকার। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া কি গৃহবন্দি থাকবেন?
এর আগে হরতাল ঘোষণার পর গত ৮ নভেম্বর রাত থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ি, তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়। বিএনপির নেতারা তখন খালেদা জিয়াকে সরকার ‘গৃহবন্দি’ করে রাখে বলে অভিযোগ তোলেন।
অন্যদিকে সরকারের অন্যতম নীতিনির্ধারক, আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিম এ প্রসঙ্গে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, ‘খালেদা জিয়াকে ৫ জানুয়ারির আগে কোনো সভা, সমাবেশ করতে হবে না।’
সমাবেশ করতে না দিয়ে ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হবে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরকম পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
নির্বাচনকালীন সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে যা করা দরকার, সরকার তাই করবে।’
গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বরের ঢাকামুখী ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। ‘গণতন্ত্র রক্ষার’ এ অভিযাত্রায় তিনি ঢাকাবাসীসহ সারাদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে অংশ নেয়ার আহবান জানান। এর আট ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে তার গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন হয়। বাড়িটির দুই পাশের রাস্তাও আটকে দেয় পুলিশ।
তবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে যান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। রাত আটটার পর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেত্রী শুভেচ্ছা বিনিময়ের করেন।