বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি ও তার পরিবার কোথায় আবেদন করেছে তা জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নিয়মানুযায়ী প্যারোলের এই আবেদন হয় আদালতে নতুবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
রোববার দুপুরে রাজধানীতে সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গুলশান শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। বিএনপি কোথায় আবেদন করেছে তা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় আদালতের আদেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। উনি কোনো আবেদন করতে চাইলে আদালতের মাধ্যমেই করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি বা প্যারোল সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার; এ বিষয়ে সরকারের কিছুই করার নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২০১৮ সালেরে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কারাজীবনের দুই বছর কেটে গেছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ছয় স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখে আসেন। বেরিয়ে এসে তারা জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তি দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না।
চিকিৎসাধীন থাকলেও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘গুরুতর’ বলে স্বজন ও বিএনপি নেতাদের ভাষ্য। ৭৪ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তিনি এখন একা চলাচল করতে পারেন না, এমনকি সাহায্য ছাড়া খেতেও পারেন না বলে কয়েক দিন আগে তাকে হাসপাতালে দেখে এসে বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন। তার বা হাতটা বেঁকে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আর ‘বেশ কিছু দিন পর’ খালেদাকে জীবিত বাড়ি ফিরিয়ে নিতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।