স্পোর্টস ডেস্ক ॥ মোহাম্মদ হাফিজের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপূণ্যে এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। সিরিজে হাফিজের তৃতীয় শতকে পাকিস্তান ৪র্থ ম্যাচে ৫৩ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়।
সিরিজ জেতার জন্য ২২৬ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে বেশ ইতিবাচক শুরুই করে পাকিস্তান। তবে দলীয় ৩১ রানে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুজ ১৬ বলে ১৩ রান করা ওপেনার শারজিল খানকে তুলে নিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলকে।
কিন্তু আগের ম্যাচসহ সিরিজে ৩ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা হাফিজ উইকেটে গিয়েই পাল্টে দেন খেলার চালচিত্র। লঙ্কান বোলারদের অসহায় করে মাত্র ৩৮ বলেই অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদও ৫৬ বলে ৫ চারে ৪৪ রানের সাবলিল ইনিংস খেলে দলীয় ১১৫ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন।
কিন্তু তাতেও দমে যাননি হাফিজ। সোহাইব মাকসুদকে সঙ্গী করে তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রান করে দলকে ৫৩ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পাইয়ে দেন। একই সঙ্গে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। চলতি সিরিজে পাকিস্তানের জেতা ৩ ম্যাচেই ছিলো হাফিজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এই ৩ ম্যাচেই শতরানের ইনিংস উপহার দেন তিনি দলকে।
হাফিজ শেষ পর্যন্ত ১১৯ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ রানের চমকপ্রদ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তরুণ মাকসুদও খেলেন ৫৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ৪৬ রানের হার না মানা ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে অধিনায়ক ম্যাথ্যুজ ১৫ রানে এবং সুরঙ্গ লাকমাল ৪৯ রানে একটি করে উইকেট নেন। হাফিজ অবধারিতভাবে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হন। আগামী শুক্রবার একই ভেন্যূতে এই দুই দল নিয়মরক্ষায় পরিনত হওয়া শেষ ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ৪৮.৫ ওভার ২২৫ (প্রিয়ঞ্জন ৭৪, সাঙ্গাকারা ৫১, ম্যাথ্যুজ ৩৮, ভিথানাগে ২৭, দিলশান ৮, কুশাল পেরেরা ৮, আজমল ৪/৩৯, গুল ৩/৩৭, জুনায়েদ ২/৪২)
পাকিস্তান ৪১.১ ওভারে ২২৬/২ (হাফিজ অপরাজিত ১১৩, মাকসুদ অপরাজিত ৪৬, শেহজাদ ৪৪, শারজিল ১৩, ম্যাথ্যুজ ১/১৫, লাকমাল ১/৪৯)