স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কীটতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে রবিবার “জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইনস্টিটিউটের সেমিনার রুমে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকমাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র ও বিভাগের ৩৫ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করছেন।
সকালে বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরোজা খাতুন। কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সুলতান আহমেদের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একই বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল ওহাব বলেন, আমাদের দেশের মানুষ দিন দিন সচেতন হয়ে উঠছে। তারা এখন আর কীটনাশকের বিষ মিশ্রিত খাবার খেতে চাই না। ফসলে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য আমাদের ফসলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে আমরা যেমন নিরাপদ থাকবো তেমনি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে আসবে।