শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > ইরানের লক্ষ্য ছিল চারটি মার্কিন দূতাবাস : ট্রাম্প

ইরানের লক্ষ্য ছিল চারটি মার্কিন দূতাবাস : ট্রাম্প

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আইআরজিসির অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে যখন হত্যা করা হয় তখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথ্য দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি অভিহিত করে সোলেইমানিকে হত্যার যুক্তি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে যখন সংশ্লিষ্ট ওই হুমকি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি বলেন, ‘এটা এখন সবাইকে জানাতে পারি যে, তারা সম্ভবত চারটি মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল।’

ইরানে জাতীয় বীর হিসেবে সমধিক জনপ্রিয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার সময় মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ও মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট বলছে, এরকম কোনো গোয়েন্দা তথ্য তারা দেখতে পায়নি।

সোলেইমানি হত্যার পর গত বুধবার মধ্যরাতে তার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে থাকা দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। তারপর ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে দেয়া এক বিবৃতিতে দূতাবাসে হামলার অভিযোগ তোলেন। গতকালও একই কথা বলেন তিনি। তাকে সমর্থন দিচ্ছেন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

গতকাল ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থমন্ত্রী স্টিভ মিউচিনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘আসন্ন হুমকি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল আমাদের কাছে। তার মধ্যে মার্কিন দূতবাসে হামলার হুমকিও ছিল। কিন্তু সেটা একেবারে শেষ করে দেয়া হয়েছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মার্কিন অভিযানে সোলেইমানি হত্যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন কেননা ইরান ‘আমাদের দূতাবাসে হামলা করে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছিল।’ তিনি দাবি করেছেন এ হামলা ‘অবশ্যই হতো’।

তিনি সোলেইমানিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনার অবশ্যই জানেন, এই হামলা পরিকল্পনা সংগঠিত করার কাজটি কে করছিল। সেই ব্যক্তি এখন আর নেই। ঠিক আছে। শুধু দূতাবাস নয় আরও অনেক কিছু ছিল তার মাথায়। পরে ওহিওতে বিশাল জনসমাবেশে বলেন, ‘সোলেইমানি আমাদের দূতাবাসের দিকে নজর দিয়েছিল।’

ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি সোলেইমানি এবং ইরাকের হাশদ আল-শাবি নামে পরিচিত পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের (পিএমইউ) প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস ও তাদের আট অনুসারী গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন।