শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ব্যাংকে নগদ টাকার চাহিদা কমেছে

ব্যাংকে নগদ টাকার চাহিদা কমেছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগে আগ্রহ নেই উদ্যোক্তাদের। এতে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় কমেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যাংকগুলোতে কমছে নগদ টাকার চাহিদা। গ্রাহকের নৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেপো ও বিশেষ তারল্য সহায়তার মাধ্যমে একটি সময় বিভিন্ন ব্যাংক দৈনিক গড়ে ৮ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা নিত। এখন তা ৬০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। অন্যদিকে, বর্তমানে কলমানিতে গড়ে ৭ দশমিক ২০ শতাংশের কম সুদে লেনদেন হচ্ছে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে এই হার আমানতের সুদহারে তুলনায় অনেক কম।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার সমকালকে বলেন, গ্রাহকের ঋণ চাহিদা বেশি থাকলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কলমানি বাজার থেকে স্বল্প সময়ের জন্য ধার বেশি মাত্রায় ধার নেয়। তবে হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কারণে এখন ঋণ চাহিদা একেবারে কমে গেছে। ব্যাংকসহ সব ব্যবসা এখন খুব খারাপ অবস্থা পার করছে। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

বিশেষ পুনঃক্রয় চুক্তি (বিশেষ রেপো) ও তারল্য সহায়তার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৩ থেকে ৭ দিনের জন্য ধার দেয়। বিশেষ রেপোতে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং তারল্য সহায়তায় ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দুই প্রক্রিয়াই ধারের প্রবণতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। গত অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ কার্যদিবসে সব ব্যাংক মিলে ৯১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা নিয়েছে। এতে দৈনিক গড় ধারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর প্রতি মাসেই আগের মাসের তুলনায় ধারের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত অক্টোবর মাসে ১৯ কার্যদিবসে ব্যাংকগুলো ৭০ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা নিয়েছিল। তাতে দৈনিক গড় ধারের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। নভেম্বরের ২০ কার্যদিবসে তারা ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা নিয়েছে। এতে গড়ে নেওয়া পড়েছে ৬৮৩ কোটি টাকা। আর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ কার্যদিবসে ৬ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা নেওয়ায় দৈনিক ধার নেমে এসেছে ৫৯৬ কোটি ৮১ লাখ টাকায়।

অন্যদিকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারেও (কলমানি) সুদের হার এখন সর্বনিম্ন। ব্যাংকগুলো ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। অথচ বেশ কিছুদিন ধরে কলমানিতে ৭ দশমিক ১০ শতাংশের কম সুদে লেনদেন হচ্ছে। এর আগে প্রতিবছরই দেখা গেছে, ঈদের আগে কলমানিতে সুদের হার বাড়ে। তবে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কোরবানি ঈদে কলমানিতে সর্বোচ্চ সুদ উঠেছিল মাত্র ৯ শতাংশ। ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণ চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলমানিতে সুদের হার বাড়বে।