স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুরে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে প্রসূতির সন্তান প্রসবের সময় যৌনাঙ্গ কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নাজমা আক্তার (২১) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুর এলাকার মো: শফিকুল ইসলাম শরীফের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহত স্বামী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বরাদ দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মো: হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯ অক্টোবর (শনিবার) সকালে নগরীর উত্তর খাইলকুল এলাকার শফিকুল ইসলাম শরীফের স্ত্রী নাজমা আক্তারের প্রসব ব্যাথা উঠলে বোর্ডবাজার এলাকার সুলতান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু এ সময় ওই হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছিলো না। তবুও তাকে ইমার্জেন্সিত বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স মোসা: রাবেয়া বেগম (২৫) তাকে প্রসব ব্যাথা বৃদ্ধির ইনজেকশন দেয়। কিছুক্ষন পরে প্রসব ব্যাথা বৃদ্ধি পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজার করার পরার্মশ দেন। এক পর্যায়ে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া নার্স রাবেয়া সঙ্গী অন্যান্য নার্সদের নিয়ে প্রসূতি নাজমার যৌনাঙ্গের ভুল স্থানে কেটে কন্যা সন্তানের প্রসব করান। এসময় প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হয়। প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণের এক পর্যায়ে মুর্মূষু অবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর গার্ডিয়ানদের কোন কিছু না জানিয়ে হাসপাতালের বাহিরে বের করে। পরে এ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর সময় নাজমার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে নিহতের পরিবার হাসপাতাল মালিক আব্দুস সালামকে বিষয়টি জানালে কোন প্রকার কর্ণপাতা না করে নিহতে স্বামীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়াইয়ে দেয়। পরে গত ২৪ অক্টোবর নিহত স্বামী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মেট্রোপলিটন গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেন ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে সুলতান জেনারেল হাসপাতালে ০১৯১৫-৩৭৬৫৭০ নাম্বার একাধিকর বার কল করলেও কেউ রিসিভ করেন নি।