রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > ক্রিকেট দলকে কড়া নিরাপত্তা দেয়া নিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাঙ্গ করল ভারতীয় মিডিয়া

ক্রিকেট দলকে কড়া নিরাপত্তা দেয়া নিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাঙ্গ করল ভারতীয় মিডিয়া

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
সফররত শ্রীলংকার ক্রিকেট দলকে কড়া নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাঙ্গ করছে ভারতীয় মিডিয়া। ২০০৯ সালে শ্রীলংকান ক্রিকেট দলের ওপর হামলার পর বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। স্বভাবতই পাকিস্তান চাইবে না নিরাপত্তা নিয়ে সামান্য প্রশ্ন ওঠুক। তাই ক্রিকেট দলকে কঠোর নিরাপত্তা চাদরে মুড়িয়ে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাবশালী এ দেশটি।

অথচ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনা করে একে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম জিনিউজ। এদিকে ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সংসদ সদস্য গৌতম গম্ভীরও এ নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার জিনিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘শ্রীলঙ্কা সরকারকে কথা দিয়েছে পাকিস্তান। তার থেকেও বড় কথা, কোনও ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। ২০০৯-এর মতো এবারও কোনও জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানে হয়তো আর কোনওদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হবে না। তাই জন্য শ্রীলঙ্কা দলকে কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে পাকিস্তান। আর সেটা করতে গিয়েও তারা হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। মজার ব্যাপার, পাকিস্তানের এমন কাণ্ড দেখে ঠাট্টা করছেন খোদ পাকিস্তানিরাই। শ্রীলঙ্কা দলকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন যুদ্ধের মহড়া সেরে ফেলল পাকিস্তান। করাচিতে শ্রীলঙ্কা দলকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে এল পাক সেনা। সেই কনভয়-এর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হল।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘ভিডিওটি তুলেছেন দুজন ব্যক্তি। তারা নিজেদের গাড়িতে বসেই মোবাইলে ভিডিও করেছেন। উল্টোদিকের লেন ধরে তখন শ্রীলঙ্কার টিম বাস যাচ্ছিল। আর দুটি ছোট বাসকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছিল পাকিস্তানের সেনা ও নিরাপত্তাকর্মীরা। আটোসাঁটো নিরাপত্তা। মাচা গলারও সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে মোট ৩৪টি গাড়ি। সেইসব গাড়িতে রয়েছেন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীরা। এছাড়া বাইকেও সওয়ার রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রায় প্রতিটি রক্ষীর হাতেই রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। এছাড়া কনভয়ের বেশিরভাগ গাড়িই বুলেটপ্রুফ। এমন অতিরিক্ত আয়োজন দেখে ঠাট্টা করে গেলেন ভিডিও তোলা সেই দুই ব্যক্তি। ’

তাদের ওই কথোপথন পাকিস্তানে ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে অ্যাম্বুলেন্স থাকাও অস্বাভাবিক হিসেবে বর্ণনা করেছে ভারতীয় ওই গণমাধ্যম।

জি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কনভয়ের শেষে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। যা দেখার পর এক ব্যক্তি বলে উঠলেন, এত আয়োজনের পরও ওদের নিজেদের উপর আস্থা নেই। যদি কিছু ঘটে যায়! সেই আশঙ্কায় আবার একটি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। এত আয়োজন নিয়ে তো যুদ্ধে চলে যাওয়া যায়।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আলোচিত সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন গৌতম গম্ভীর। তিনি লিখেছেন, ”কাশ্মীর কাশ্মীর করতে করতে করাচির কথা ভুলেই গিয়েছে।”

ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল-‘ম্যাচ আয়োজন নাকি যুদ্ধের মহড়া! পাকিস্তানের ‘কাণ্ড’ দেখে হাসছেন পাকিস্তানিরাই’। কিন্তু পাকিস্তানিরা যে হেসেছেন তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি বা ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে ওই প্রতিবেদন। এখানে গৌতম গম্ভীর ছাড়া আর কারও কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। এমনকি দুই পাকিস্তানির ওই কথোপথন পাকিস্তানে ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও সেটি কতবার শেয়ার হয়েছে। কোন পাকিস্তানি কী বলছে তারও কোনো বিবরণ প্রকাশ হয়নি।