মো. ইব্রাহীম খন্দকার ॥
গাজীপুর: কালীগঞ্জে ৮৬ বছরের বৃদ্ধাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে তার নাতি আনিছুর রহমান কাকন। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি পাষন্ড নাতি কাকন ওই ৮৬ বছরের বৃদ্ধা দাদীর ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের টাহরদিয়া গ্রামের মৃত বিল্লাল আলীর বাড়িতে। অভিযুক্ত কাকন বৃদ্ধার বড় ছেলে আলকাছ মিয়ার পুত্র।
এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে আহত বৃদ্ধার ছোট মেয়ে রাজিয়া বেগমের পুত্র আঃ সালাম মোল্লা বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া জানান- অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধা হালিমা খাতুন জানান, আজ থেকে ৫২-৫৩ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই বড় ছেলে আলকাছ মিয়া জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে প্রায় সময়ই মারধর করতো। পরে ওই বৃদ্ধা মেয়ের বাড়ি গাজীপুর সিটির মারুকা চলে যাই। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসলে তারা তাকে খেতে দিতো না, বাথরুমে যেতে দিতো না। অনেক কষ্ট করে রান্না করে ওই বৃদ্ধা খেতো। শুক্রবার বৃষ্টির সময় ওই বৃদ্ধা রান্না করছিলো। পরে তার নাতি কাকন তাকে গলায় চিপ দিয়ে ধরে থেতঁলাইতে থাকে। তাতে করে ওই বৃদ্ধার কপালে, পিঠে, হাতে পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা পায় এবং ভয়ে সে প্রশাব পায়খানা করে জামা-কাপড় নষ্ট করে ফেলে। তার কিছুক্ষণ পরে ঘরের তালা মেরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসব কথা বলে এ প্রতিবেদকের সামনে কাঁদতে থাকেন এবং কান্না জড়িত কন্ঠে তার নাতির বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার এন্তাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন- মসজিদে এসে ওই বৃদ্ধা মুসল্লিদের নিকট বিচার চেয়েছেন। তবে বিষয়টি দুঃখজনক।
