শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > হিলিস্থল বন্দরে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি

হিলিস্থল বন্দরে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি

শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর ॥ ১৮ দলের টানা অবরোধেও হিলিস্থলবন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানি চালু থাকলেও আগের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে। অন্যদিকে ভারতের হিলিতে প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের প্রবেশের অপেক্ষায় আটক রয়েছে।

দিনাজপুরের হিলিস্থল বন্দরে বিরোধী দলের টানা হরতাল ও অবরোধ অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমন্বয় করে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে সমস্যা সৃষ্টি করেছে পণ্যবাহী ট্রাক খালাসের পর হিলিস্থল বন্দরের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে। অবরোধ ও হরতাল অব্যাহত থাকায় আমদানীকৃত পণ্য বাইরে পাঠাতে না পেরে ব্যবসায়ীদের গুদামে পড়ে রয়েছে। ফলে আমদানীকৃত ফলমূল ও পচনশীল দ্রব্য আমদানী করে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখিন হচ্ছে।

হিলিস্থল বন্দর সিএন্ডএফএর এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, অব্যাহত অবরোধের ফলে হিলি থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে পণ্য ডেলিভারী হচ্ছে কম। তাই ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

হিলিস্থল বন্দর ব্যবসায়ী আমদানী-রপ্তানী কারক গ্রুপের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ জানান, আমরা দেশের বিভিন্নস্থানে পণ্য ডেলিভারীর স্বার্থে ট্রাক ভাড়া দ্বিগুন-তিনগুন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ পর্যন্ত অবরোধের কারণেই প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কাঁচাপণ্য গোডাউনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হিলিস্থল বন্দর আমদানীপণ্য নিতে আসা ট্রাক চালক হালিম জানান, জীবনের ঝুকি ও ট্রাক নিয়ে পথে চলাচল করতে হচ্ছে। সেখানেও আমরা নাশকতার ভয় থাকছে প্রতিনিয়ত।

হিলিস্থল বন্দর বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালত পানামা পোর্টের ম্যানেজার এসএম হায়দার জানান, অবরোধের মধ্যে হিলিস্থল বন্দর চালু রয়েছে। তবে আমদানীকৃত পণ্য অন্যত্র পরিবহন করতে না পারায় পচনশীল পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অবরোধ ও হরতালের আওতামুক্ত থাকলেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা পেত।

হিলি স্থলবন্দর কাষ্টমস বিভাগের সহকারী কমিশনার মাজেদুল হক জানান, ছুটির দিনেও হিলিস্থল বন্দর আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। ফলে সরকারের বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রয়েছে। তবে আমদানীকৃত পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থাপনায় বাইরে সরবরাহ করা গেলেই আমদানীর ধারাবাহিকতা ঠিক থাকতো।

হিলিস্থল বন্দর কুলিশ্রমিক নুরু সরদার জানান, টানা অবরোধের কবলে পণ্য ডেলিভারী কম হওয়ায় ট্রাক স্বল্পতার কারণে আমরা শ্রমিকরাই সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।