শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > গাজীপুরে চাদাঁবাজী করতে গিয়ে পুলিশের ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার

গাজীপুরে চাদাঁবাজী করতে গিয়ে পুলিশের ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর মহানগরের জয়বেদপুর মারিয়ালী এলাকায় একটি কারখানায় চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো: সুমন (২৭) মেট্রোপলিটন সদর থানার মারিয়ালী মধ্যপাড়া এলাকার মো: আনছার আলী আনছুর পুত্র।

শনিবার রাতে তাকে মারিয়ালী এলাকার ইমন ফ্যাশনস লি: নামের একটি পোশাক কারখানার ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী ইমন ফ্যাশনস লি: পোশাক কারখানার ম্যানেজার (এডমিন) এবিএম ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর মারিয়ালী এলাকায় ইমন ফ্যাশনস লি: পোশাক কারখানার কতৃপক্ষের কাছে সুমন, আনছার উদ্দিন আনছু, মো: হৃদয়সহ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসেছে। গত ২০১৮ সালের জুন থেকে বর্তমান ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত তারা বিভিন্ন সময় ৬লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে গ্রহণ করে। কিছু পূর্ব তারা এক কালীন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে কারখানার কর্তৃপক্ষকে খুন জখম, কারখানা আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে কারখানার সামনে এক শ্রমিককে মারধর করে মোবাইল, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কারখানার সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হত্যা ও ফ্যক্টরী বন্ধ করার হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে বিভিন্ন সময় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করলেও তাতে তারা রাজি হয়নি। পরে আবার গত ৩০ মার্চ বিকেলে অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কারখানার সামনে এসে কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় কারখানার পাইলিং কন্ট্রাক্টর মো: শহিদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও ডান পায়ে গুরুত্বর আঘাত করে। এসময় কারখানার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী আবারো হুমকী দিয়ে চলে যায়। এসময় ঘটনায় দু’জনকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ মেট্রোপলিটন সদর থাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে গত ২০ জুলাই বিকেলে আবারো উল্লেখিত সন্ত্রাসীরাসহ আরো ৫/৬জন কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এডমিন অফিসার ওয়াহিদুজ্জামানকে হত্যার হুমকীদিয়ে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। পরে কারখানার সিকিউরিটি গার্ডসহ অন্যান্যরা এগিয়ে তাকে রক্ষা করেন। সন্ত্রাসীরা দাবীকৃত টাকার জন্য খুন ও কারখানায় আগুন দেয়া হুমকী দিলে কারখানার সিকিউরিটি, শ্রমিক, স্টাফরা সুমনকে আটক করে। আটকের সময় ধস্তা ধস্তিতে সুমন কিছুটা আহত হয়। এসময় সুমনের সাথে থাকা অন্যান্যরা দৌঁড়াইয়া পালিয়ে যায়। পরে সদর থানা পুলিশ সুমনকে তাদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় আবারো একই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অন্য আসামীদের ধরতে কোর্টে রিমান্ডের জন্য আবেদনও করা হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান, চাঁদাবাজীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই কারখানার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তার বিরুদ্ধে থানায় আরো মামলা রয়েছে। সে এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাদ। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।