বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচদিন ছুটির পর রোববার খুলেছে সরকারি অফিস। প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। প্রথম কর্মদিবসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট, সর্বত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
এক মাস রোজা পালন শেষে গত বুধবার সারাদেশে মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার (৪, ৫ ও ৬ জুন) ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়ি ঈদ পালন করতে যাওয়ায় কেউ কেউ রোববার অফিসে যোগ দেবেন না। তারা আরও দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গ্রাম থেকে ব্যাগ নিয়ে সোজা অফিসে চলে এসেছেন।
সচিবালয়ে দায়িত্ব পালনকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ৬০ শতাংশের মতো।
সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে উপস্থিতি কম। কোনো কোনো কক্ষে চেয়ার টেবিল ফাঁকা। যারাও এসেছেন কাজে-কর্মে ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে ৪ নম্বর ভবনের দোতলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২ নম্বর কক্ষটিতে কাউকে পাওয়া যায়নি। যদিও এখানে চারজনের বসার ব্যবস্থা আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম ছিল।
লিফটগুলোর সামনে তেমন ভিড় ছিল না। তবে গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্য সময়ের মতো গাড়িতে পূর্ণ ছিল।
রোববার সচিবালয়ে এসে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।